জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors) গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল। পশ্চিমবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। এই পরিস্থিতি নতুন করে রাজ্যে নিম্নচাপের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যার জেরে বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বন্যায় প্লাবিত কেশপুরে হাজির আর জি কর মেডিক্যাল ও মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors)। টাবাগেড়্যা এলাকায় খোলা হয়েছে (Junior Doctors) মেডিক্যাল ক্যাম্প। সেখান দুই মেডিক্যাল কলেজের ৩০ জন জুনিয়র চিকিৎসক (Junior Doctors) চিকিৎসা পরিষেবা দিচ্ছেন। ওষুধের পাশাপাশি সেখানে ত্রাণ বিলি করা হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors) ধরনা ও আংশিক কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার পরেই স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অতিসক্রিয়তার সঙ্গে মুছে ফেলা হয় স্লোগান ও প্রতিবাদের ভাষা। রাস্তায় আলকাতরা ঢেলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি স্বাস্থ্য ভবন ও আশেপাশের অফিসের দেওয়ালগুলোতে রঙ করে দেওয়া হয়। জুনিয়র চিকিৎসকরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন এভাবে কি প্রতিবাদের ভাষা মোছা যায়!
তবে প্রতিবাদের ভাষা মুছতে সচেষ্ট হলেও আরজি কর কাণ্ডে আরও অস্বস্তি বাড়িয়েছে সিবিআই। সন্দীপ ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে সিবিআই তলব করেছে। প্রায় নয় ঘণ্টা কেটে গেছে, এখনও বিরূপাক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। অভিক দে ও বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে ৯ আগস্টের দিন আরজি করের সেমিনার হলে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। সেই বিষয়েই বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। শনিবার সিজিও কমপ্লেক্সে প্রবেশ করেন বিরূপাক্ষ বিশ্বাস। তাঁকে সাংবাদিকরা একাধিক বিষয়ে প্রশ্ন করলেও তিনি সমস্ত প্রশ্ন এড়িয়ে যান। তবে সিবিআই তলবে কোনও ডকুমেন্ট আনতে বলা হয়নি বলে জানা গিয়েছে। সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, নির্যাতিতাকে ধর্ষণ ও হত্যার নেপথ্যে একটা বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে। সেটা কী বুঝতে চাইছে সিবিআই। একটি দৈনিক পত্রিকায় দাবি করা হয়েছে, দুই সহকর্মীকে নিয়ে নির্যাতিতা সন্দীপ ঘোষকে ওষুধের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। অন্য একটি পত্রিকায় দাবি করা হয়েছিল, থিসিস পেপার জমা দেওয়ার জন্য ১৫ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছিল নির্যাতিতার কাছ থেকে। তবে সিবিআই সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।