চিকিৎসকদের তরফে (Justice For RG Kar) সোনারপুর দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হল হাইকোর্টে। তাঁর বিরুদ্ধে চিকিৎসক ও তাঁদের আন্দোলনকে অসম্মান করার অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রকাশ্য জনসভায় লাভলি মৈত্র চিকিৎসকদের ‘কসাই’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে উসকানি মূলক মন্তব্যের অভিযোগ রয়েছে। তাঁকে আগেই সতর্ক করে দিয়েছিল দল।
বুধবার হাইকোর্টে মামলাটি উল্লেখ করেন আইনজীবী সব্যসাচী ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, যেভাবে প্রকাশ্য জনসভায় লাভলি মৈত্র চিকিৎসকদের অসম্মান করেছেন, তার বিরুদ্ধে চিকিৎসকদের হয়ে অভিযোগ জানাতে আদলতের দ্বারস্থ হয়েছেন। বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।
চিকিৎসকদের প্রকাশ্য জনসভায় লাভলি মৈত্র কসাই বলে উল্লেখ করেছিলেন। চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে বিধায়িকা বলেন, ‘কোনও চিকিৎসা হচ্ছে না। এরা মানবিক? এরা মানুষ? কসাইতে পরিণত হচ্ছে দিনের পর দিন ডাক্তাররা। কসাইতে পরিণত হচ্ছে দিনের পর দিন ডাক্তাররা।’ পাশাপাশি তিনি চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন, দিনের পর দিন আন্দোলন (Justice For RG Kar) চলছে। যাঁরা গরিব মানুষ, যাঁরা প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে আসছেন, যাঁরা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন, তাঁরা কোনও রকম চিকিৎসা পাচ্ছেন না।’ এছাড়াও সেই জনসভায় তিনি বদলার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘দল তো ২০১১তে হয়েছিল। ২০২৪ এর বদলা হবে। সেই সঙ্গেই তিনি বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দিকে যদি কেউ আঙুল তোলে সেই আঙুল কীভাবে নামাতে হয় তা আমার জানি। তিনি বলেন, ‘বদলা না নেওয়ার কারণেই সায়ন সুজনরা এখনও ঘুরে বেড়ান। ‘ এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেন, ‘১ সেপ্টেম্বর সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়িকা লাভলি মৈত্র উসকানিমূলক মন্তব্য করেন। তিনি আমার ও আমার সিনিয়র কমরেড সুজন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে উসকানিমূলক মন্তব্য করেছেন। প্রতিহিংসা নেওয়ার কথা তিনি বক্তব্যে রেখেছিলেন। লাভলি মৈত্রের স্বামী আইপিএস সৌম্য রায় অত্যন্ত প্রভাবশালী। তিনি আমার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক মিথ্যা মামলা আনতে পারেন।’ অভিযোগে সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তিনি আন্দোলনে (Justice For RG Kar) পথে নেমেছেন। ঘটনার জেরে তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
তবে লাভলি মৈত্রের এই ধরনের মন্তব্য সমর্থন করেননি দলের শীর্ষ নেতারা। দলের তরফে তাঁকে ইতিমধ্যে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নাম করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘দলমত নির্বিশেষে সমস্ত জনপ্রতিনিধিদের আরও বিনয়ী হতে হবে।’ তবে তিনি নিজের দলের বিধায়িকা লাভলি মৈত্রকে উল্লেখ করে যে এই বার্তা দিয়েছেন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।