তিলোত্তমার বিচার চেয়ে (Justice For RG Kar) প্রতিবাদে যোগ দিতে গিয়ে চরম অস্বস্তির মুখে পড়তে হলো যাদবপুরের প্রাক্তন সাংসদ মিমি চক্রবর্তীকে। আন্দোলনে প্রবেশ করতেই তাঁকে গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়। ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি যাদবপুরের প্রতিবাদ অঞ্চল ছেড়ে চলে যান।
১৪ আগস্ট রাত দখলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। তারই পুনরাবৃত্তি দেখতে পাওয়া গিয়েছিল ৪ তারিখ রাতে। রাজ্য সহ শহরের বিভিন্ন এলাকার মতো যাদবপুরের ৮বি বাসস্ট্যান্ডে গান, স্লোগান, শ্রুতিনাটকের মাধ্যমে বিক্ষোভ দেখানো (Justice For RG Kar)হয়। বিশাল সংখ্যক মানুষ জমায়েতে অংশগ্রহণ করেন। মোমবাতির সঙ্গে সঙ্গে ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালিয়ে চলে প্রতিবাদ। যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ডে প্রতিবাদে সামিল হতে আসেন যাদবপুরের প্রাক্তন সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। ভিড়ের মধ্যে মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট জ্বেলে প্রতিবাদ দেখাতে দেখা যায়। কিন্তু তাঁকে দেখেই সাধারণ মানুষ গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকেন। ঘটনার পরেই মিমি চক্রবর্তী প্রতিবাদ স্থল ছেড়ে চলে যান।
অন্যদিকে, আরও এক অভিনেত্রীকে গো ব্যাক স্লোগানের মুখে পড়তে হয়। শ্যামবাজারের প্রতিবাদী স্থলে যোগ দিতে গেলে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে গো ব্যাক স্লোগান শুনতে হয়। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের গাড়িকে ধাক্কা মারা হয়। গাড়ির ওপর বোতল দিয়ে মারা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাচ্ছে দেখেই দেহরক্ষীরা তাঁকে গাড়িতে তোলেন। তারপর ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত প্রতিবাদস্থল থেকে বেরিয়ে যান।
তিলোত্তমা কাণ্ডের পরেই ট্রোলের মুখে পড়েছিলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তিলোত্তমার পূর্ণ বিচার চেয়ে তিনি ক্যামেরার সামনে এসে শাঁখ বাজান। ঘটনাটি পুরোটাই স্ক্রিপ্টেড বলে দাবি করেন নেটিজেনরা। তারপরেই তাঁকে নিয়ে একাধিক মিম তৈরি হয়।
তবে তিলোত্তমা কাণ্ডে প্রথম থেকেই সরব ছিলেন মিমি চক্রবর্তী। তিনি ১৪ আগস্ট রাত দখলের আন্দোলনেও অংশগ্রহণ করেছিলেন। তবে বুধবার একাধিক জায়গায় অপ্রীতিকর খবর আসে। যাদবপুর মদ্যপ অবস্থায় ঢুকে পড়ে যুবক। মহিলাদের সঙ্গে অসভ্য ব্যবহার করে বলে অভিযোগ। যাদবপুর থানার পুলিশ তাঁকে আটক করে নিয়ে যান। তারপর তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। অন্যদিকে, গড়িয়াতে কাজ থেকে ফেরার পথে একটি মেয়েকে কটূক্তি করা হয়। ঘটনার সময় গড়িয়াতে প্রতিবাদ চলছিল। পুলিশ ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে বলে জানা গিয়েছে। মাথাভাঙাতেও প্রতিবাদ মিছিলকে ঘিরে উত্তপ্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়। আঙুল উঠছে শাসকদলের বিরুদ্ধে।