প্রনব বিশ্বাস, ব্যারাকপুরঃ কেবলমাত্র পাটের বস্তাতেই খাদ্যশস্য প্যাকেজিং করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে জুট মিল শ্রমিকদের মধ্যে এখন খুশির হাওয়া। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা খাদ্যশস্যের সম্পূর্ণ প্যাকেজিং পাটের বস্তায় বাধ্যতামূলক করার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে ১০০% খাদ্যশস্য এবং ২০% চিনি পাটের বস্তায় নিতে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যেখানে পাট শিল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৩ লক্ষ ৭০ হাজার শ্রমিক এবং ৪০ লক্ষ পাট কৃষক উপকৃত হবেন। যার অধিকাংশই পশ্চিমবঙ্গের। আর এই সিদ্ধান্তের পরে শুক্রবার লক্ষ্মী পূজার দিনে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের জুট মিল গুলিতে শ্রমিকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ পরিলক্ষিত হয়।
আর এই সিদ্ধান্ত আশ্বস্ত হয়েছে জুটমিল গুলির বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনগুলি। জগদ্দল এলাকার এক জুট মিলের শ্রমিক বিশ্বনাথ দাস জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের এই নীতি সত্যিই খুব ভালো হয়েছে। এতে করে পাট চাষিরা বাঁচবে, পাট শিল্পটা বাঁচবে, পাট শ্রমিকেরা বাঁচবে। বাঁচবে সকলেই। আবার একটা কর্মসংস্থান হবে। পাট দিয়ে অনেক রকম কাজ হয়।
তিনি বলেন, ‘‘পাটের বস্তা ছাড়াও আজকাল হালফ্যাশনের ব্যাগ তৈরি হয়। বাজারে পাটশিল্পের বহু চাহিদা রয়েছে। বাজারে চাহিদা অনুযায়ী আমাদের কাজ যখন বাড়বে তখন আমাদেরও মাসের বেতন আশাকরি অনেকটাই বাড়বে। আর তাতে আমরা একটু স্বচ্ছল হতে পারি। আমরা এই মুহূর্তে অনেক কম টাকায় ন্যূনতম বেতনে কাজ করি।’’
শ্রমিক নেতা সঞ্জয় রায়ের কথায়, কেন্দ্রের সরকারকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই যে ১০০ শতাংশ জুটের ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। এই সিদ্ধান্তের জেরে পাট শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকরা লাভবান হবেন। পশ্চিমবঙ্গ আর্থিক ভাবে লাভবান হবে। পাট চাষিরা লাভবান হবে এবং তারা আরও বেশি চাষ করার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে। জুট এমনই একটা জিনিস যা বারেবারেই রিসাইক্লিং করা যায় এবং স্বাস্থ্যবিধি সম্মত।