ফের লণ্ডভণ্ড এলাকা, কালবৈশাখী ঝড়ে মৃত ২, আহত ৪

নতুন করে আতঙ্ক সুন্দরবনের বানভাসি মানুষদের

নিজস্ব প্রতিনিধি, বনগাঁ ও বসিরহাট:  আমফান এর রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বুধবার রাতের কালবৈশাখী ঝড়ে বসিরহাট ও বনগাঁ মহকুমায় দুই ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো৷ আহত হল আরও ৪। আহতরা বসিরহাট ও বনগাঁ মহাকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।মৃতদের নাম আব্দুল মান্নান মন্ডল (৬৩)। বাড়ি বনগাঁ থানার বোয়ালদহ এলাকায়। ও মোহর আলী(৪০)।বাড়ি হাড়োয়া থানার মল্লিক পুর গ্রামে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতের কালবৈশাখী ঝড়ে গাছের ডাল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে বনগাঁর আব্দুল মান্নান মন্ডলের( ৬৩)। বুধবার রাতে ঝড়ের সময় ওই ব্যক্তি গোয়াল ঘরে গরু রাখছে গিয়েছিল। ঘরে ফিরে আসার সময় তার উপরের দুটি গাছের ডাল ভেঙে পড়ে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

অন্যদিকে, বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়ার মল্লিকপুর গ্রামের মৃত ব্যক্তি বাড়ির সামনে পাঁচিলের ধারে দাঁড়িয়ে ছিলেন। রাত নটা নাগাদ হঠাৎ ঝড়ে পাঁচিল ভেঙে যায়। সেই পাচিল চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। আরও এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি করা হয়। বুধবার রাতের কালবৈশাখী ঝড়ে বনগাঁ, বাগদা, গাইঘাটা ও বসিরহাটের কয়েকটি এলাকায় ফের নতুন করে বহু গাছ ভেঙেছে। বহু বাড়ির টিনের চাল উড়ে গিয়েছে। বাগদা এলাকার অমূল্য হালদার বলেন, “আমফান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বহু মানুষ তাঁবুর নিচে বাস করছিল। ফের কালবৈশাখী ঝড়ে নতুন করে আরও গাছ ভেঙে পড়েছে। টিনের চাল উড়ে উড়িয়ে সর্বহারা হয়েছি আমরা।’ সুন্দরবন লাগোয়া ব্লকগুলির মানুষ জলবন্দি হয়ে রয়েছেন। ঝড়ের পরে ওই এলাকা গুলিতে নতুন করে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে জলস্তর বাড়ছে৷ নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে সুন্দরবন এলাকায়।