এক একটা পুজোর (Kali Puja) সঙ্গে এক একটা গল্পকথা, এক এক ধরনের নিয়ম জুড়ে থাকে। সেই নিয়ম, পুজোর (Kali Puja) সঙ্গে জুড়ে থাকা গল্প শুনলে অবাক হয়ে যেতে হয়। ঠিক যেমন বড় তারার পুজো (Kali Puja)। বর্তমানে বড় তারার v(Kali Puja) পুজোয় চলছে জোর প্রস্তুতি। এমনিতে তাঁকে ডাকলেই পাওয়া যায়। কিন্তু তাঁকে তুষ্ঠ করতে গেলে পালন করতে হয় একাধিক নিয়ম। কী সেই নিয়ম?
কোচবিহারের বড় তারাকে সাজাতে লাগে ১০৮ টি সোনা এবং রুপোর মুণ্ডমালা। পুজোর রাতেই মাকে নিবেদন করা শোল পোড়া মাছ। শোনা যায়, এতেই তুষ্ঠ হয় কোচবিহারের বড় তারা। কোচবিহারের মদনমোহন বাড়ির কাঠামিয়া মন্দিরে প্রায় শেষ কালী প্রতিমা গড়ার কাজ। কথিত রয়েছে, কোচবিহারের রাজাদের হাত ধরেই এই কালী পুজো শুরু হয়েছিল। তবে বর্তমানে পুজোর দায়িত্বে রয়েছে দেবত্তোর ট্রাস্ট বোর্ড। কথিত আছে, দেবী খুবই জাগ্রত। তাই মনবাঞ্চা পূর্ণ হওয়ার আশায় দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন ভক্তরা।
অন্যদিকে, দুর্গাপুরের ষোল আনা বড় মার পুজোর প্রস্তুতি ঘিরে এখন স্থানীয় বাসিন্দারা তুঙ্গে। একসময় শুধু তালপাতার ছাউনি ঘিরে শুরু হয় কালীপুজো। এখন সেখানেই তৈরি হয়েছে আস্ত একটা মন্দির। সেখানেই রয়েছেন দেবী। দুর্গাপুরের অন্ডালের ধান্ডাডিহিতেই রয়েছে ষোল আনা বড় মা। দুর্গাপুরের অন্ডালের ধান্ডাডিহিতে রয়েছেন ষোল আনা বড় মা। জনশ্রুতি রয়েছে, ব্রিটিশ আমলে বর্গি হামলা থেকে বাঁচতে শুরু হয়েছিল মায়ের আরাধনা। তারপর থেকে জাঁকজমক করে পুজো হয় মা কালীর। এখানেও রয়েছে আজব নিয়ম। ২১ কেজি চাল ও ২১ রকম সবজি দিয়ে এখানে তৈরি করা হয় মায়ের ভোগ। কথিত রয়েছে, মা পুজো পছন্দ না হলে মন্দির ছেড়ে বেরিয়ে যান। সেই কারণে মায়ের পায়ে শিকল পরিয়ে রাখা হয়।