কালীঘাট (Kalighat) মেট্রো স্টেশনে চুমু খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলকাতা উত্তাল। কেউ ঘটনাটিকে (Kalighat) সমর্থন করছে। কেউ আবার সংস্কৃতি (Kalighat) উচ্ছন্নে গেছে বলে মন্তব্য করছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন সব থেকে জনপ্রিয় টপিক কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে (Kalighat) চুমু কাণ্ড। এই ঘটনাকে (Kalighat) কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়া কার্যত দুটো ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে।
এই প্রসঙ্গে টালিগঞ্জের পরিচালক বিরসা দাশগুপ্ত লিখলেন, ‘চুমু পায়/ ঠিক যেমন বৃষ্টি পড়লে খিচুড়ি পায়/ স্নানের সময় গান পায়/ আদরের পরে সিগারেট পায়/পড়তে বসলে ঘুম পায়/ তেমনই/ তাই চুমু পেলে চুমু খাবো/ যখন যেখানে ইচ্ছে/ কার বাপের কী?’ তবে বিরসা দাশগুপ্তের মন্তব্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে। , ‘আমাদের এখানে আসলে ধর্ষণটা বাস্তব। প্রকাশ্য রাস্তায় ধর্ষণ বা শ্লীলতাহানি হলেও কেউ ফিরে তাকায় না। কিন্তু দুজন প্রেমে পড়ে চুমু খেলেই মুশকিল’। আরেকজন লিখলেন, ‘এ দেশে ঘুষ খেলে কথা হয় না। চুমুতে হয়। হায় রে চুমু!’ তেমনই কেউ লিখেছেন, ‘তেমনই হিসু পেলেই হিসু করব, তাই তো?’ আরেকজন লিখলেন, ‘শালীনতা বোধের অভাব সব জায়গায় না সবকিছু করা যায় না।’
কিন্তু ঠিক কী হয়েছিল কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে?
শনিবার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল, যেখানে দেখা যায় কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে পিলারের পাশে দাঁড়িয়ে পরস্পরের ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়েছে এক পুরুষ ও মহিলা। ব্যস্ত শহরে যেন তাঁরা ডুবে গিয়েছেন একে-অন্যতে। কলকাতায় এই ছবি সেভাবে দেখা না গেলেও, বাইরের দেশে কিন্তু হামেশাই চোখে পড়ে প্রেমের এহেন বহিঃপ্রকাশ। এমনকী, আইফেল টাওয়ারের সামনে এভাবে ঠোঁটে ঠোঁট ডোবানো তো অলিখিত নিয়ম একপ্রকার। কিন্তু এখন প্রশ্ন, কেন কলকাতায় এখন মানুষ ভ্রু কুঁচকে দেখছে।
তবে মেট্রোর তরফে লিখিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। সেখানে জানানো হয়েছিল মেট্রো স্টেশনে আলিঙ্গন করা যাবে না। চুমু খাওয়া যাবে না। এমনকী হ্যান্ড শেক করাও যাবে না। কিন্তু সেই নিয়ম করোনা কালের সময়। এখন এই ধরনের কোনও নিয়ম মেট্রো স্টেশনে নেই। ওই যুগল আইনত কোনও ভুল কাজ করেনি বলেও নেটিজেনদের একাংশ মনে করছেন।