পল্লব হাজরা, আগরপাড়া আজও মানুষের কাছে অন্যতম আশ্চর্য্য বিষয় মিশরীয় সভ্যতা (Egyptian Civilization)। বালির এই দেশে পড়তে পড়তে লুকিয়ে নানান কাহিনী। নীলনদ (Nile River) উপত্যকায় গড়ে ওঠা সভ্যতা মানুষকে শিখিয়েছে সেচ ব্যবস্থার উন্নতির সাথে কৃষি কাজ। যেহেতু এই সভ্যতার মূল আকর্ষণ পিরামিড (Pyramid) সেহেতু এই বছর দুর্গা পূজায় অনেক উদ্যোক্তারাই তাদের থিম বানিয়েছেন এক টুকরো মিশর।
তবে শক্তির আরাধনায় অর্থাৎ শ্যামা পূজায় (Kali puja) মিশরের প্রাচীন লোকগাথাকেই এবারের পুজোর থিম (Theme) হিসেবে বেছে নিয়েছে আগরপাড়া (Agarpara) সবাই সংঘ।
এখানে প্রাচীন মিশরের লোকগাথার ধর্মীয় চরিত্রের সঙ্গে প্রাচ্যের দেবদেবীর সামঞ্জস্য ঘটিয়ে শিল্পকলার এক অপরূপ নিদর্শন তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন এখানকার পুজোর আয়োজকরা।
প্রাচীন মিশরিয় লোকগাথায় বর্ণিত দেবী ইসিসকে ( goddess Isis) তুলে আনা হয়েছে। মিশরিয় সোককথায় ইসিস হচ্ছেন শুভ শক্তির প্রতীক। মণ্ডপ সজ্জাতেও থাকছে মিশরিয় ছোঁয়া। থাকছে ইজিপ্টের পরম পরাক্রমশালী শাসক ফারাও-এর ‘মমি’। মণ্ডপ শিল্পী পার্থ মাইতি জানান, মিশরীয় ভাস্কর্য প্রাচীন মিশরের কথাই মনে করিয়ে দেবে দর্শকদের। মণ্ডপের প্রবেশ পথে থাকবে বিভিন্ন ফারাওয়ের মূর্তি। মূলত থার্মোকল, প্লাস্টার অব প্যারিস, বাঁশ-কাঠ-কাপড় ইত্যাদি সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে মণ্ডপ নির্মাণে।
মিশরিয় রাজাদের সমাধি ক্ষেত্রে যেন আজও রহস্যময়। ইতিহাসে পাতায় বর্ণনা পড়ে মনে সাধ হলেও বাঁধ সাধে সাধ্য। তবে দুধের স্বাদ কিছুটা ঘোলে মিটাতে আপনাকে আসতেই হবে আগরপাড়ার সবাই সংঘে।
কি বলছেন শিল্পী থেকে উদ্যোক্তারা ? জানতে নিচের ভিডিওটি দেখুন