অষ্টমীর পুজো (Durga Puja) করলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজো করতে করতে ঠাকুরের (Durga Puja) সামনে কেঁদেও ফেলেন তিনি। । আজ মহাষ্টমী(Durga Puja) । ১০৮টি পদ্ম আর প্রদীপ সাজিয়ে দেবী দুর্গার (Durga Puja) আরাধনা। তিথি অনুযায়ী ভোরবেলাতেই মণ্ডপে মণ্ডপে অষ্টমীর(Durga Puja) পুষ্পাঞ্জলী। কোথাও আবার সকাল সকাল সন্ধিপুজোও শেষ। বিভিন্ন জায়গায় কুমারী পুজোর আয়োজন করা হয়েছে।
শুধু শহর কলকাতা নয়। থিমের ছোঁয়া আজ গ্রামগঞ্জেও। কলকাতার আশপাশের জেলার মানুষ যেমন শহরে ঠাকুর দেখতে আসেন। তেমনই এখন কলকাতার মানুষও বেরিয়ে পড়েন জেলার ঠাকুর দেখতে। জেলা কিংবা শহরে থিমের চাকচিক্যের মধ্যেও আচারে কিংবা সাবেকিয়ানায় আজও আলাদা নজর কাড়ে বনেদি বাড়ির পুজো। একেক বাড়িতে একেক রীতি। আর যাকে ঘিরে একেকরকম মিথ। হুগলি জেলার প্রাচীন পুজোগুলোর মধ্যে অন্যতম শ্রীরামপুরের চণ্ডীতলা-১ ব্লকের আলিপুরের সরকার বাড়ির দুর্গাপুজো। ১৮৪৭ সালে এই বাড়িতে দুর্গাপুজো শুরু হয়। রামলোচন সরকারের চতুর্থ পুত্র মাধবচন্দ্র সরকার। একটা সময় বছরের পর বছর ধরে জাঁকজমকভাবেই এই পুজো হত। ১৯৫২ সালে সরকার পরিবারের জমিদারি প্রথা উঠে যাওয়ার পর জাঁকজমক অনেকটাই কমেছে। ম্রিয়মাণ হয়েছে সাঁঝবাতির আলো। কিন্তু পুজোর আচারে বড় কোনও পরিবর্তন হয়নি।
আজকে অষ্টমী। আগামী কাল নবমী। এই দুই দিনে পুজোর স্বাদ পেতে পথে নেমেছে বাঙালিরা। কেউ রাত জেগে ঠাকুর দেখছেন তো কেউ আবার ভিড় এড়াতে সকালে ঠাকুর দেখছেন। তবে সকালেও ভিড় হচ্ছে চোখে পড়ার মতো। তাঁর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে রেস্তোরাঁগুলোতে ভিড়। উৎসবের দিনে ভালো খাবার ছাড়া তো দিন পূর্ণ হয় না।