প্রকাশ্যে এল কল্যানী মেডিক্যালের (Kalyani Medical College) নারকীয় ঘটনা। এক ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রীকে মারধরের ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল টিএমসিপি নেতাদের বিরুদ্ধে(Kalyani Medical College) । মধ্যরাতে ছাত্রীর ঘরে ঢুকে শ্লীলতাহানি, মারধরের অভিযোগ টিএমসিপির নেতাদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ জানানোর (Kalyani Medical College) পর পাল্টা আরও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ওই ছাত্রীর বাবা-মাকেও ফোন করে হুমকি দেওয়া হয় বলে ছাত্রী অভিযোগ করেছেন।
কী হয়েছিল ছাত্রীর (Kalyani Medical College) সঙ্গে? ওই ছাত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি (Kalyani Medical College) হয়ে বলেন, সেদিন আমাদের সিনিয়রদের একটি কনভোকেশন পার্টিতে অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। আমরা একটি অনুষ্ঠানের জন্য প্রাকটিস করছিলাম। সে সময়ে ইউনিয়নের কয়েকজন, হস্টেলের দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে। গায়ে হাত তোলে। জিনিসপত্র ওলটপালট করে। গোটা ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আলিম বিশ্বাস নামের এক ব্যক্তি। ছাত্রী বলেন, ওরা আমাদের বলেছিল আমরা কনভোকেশনে যেতে পারবো না। কারণ ওদের নিজেদের মধ্যে একটা বিবাদ চলছিল। ছাত্রী অভিযোগ করেন, “আমাদের থ্রেট দেওয়া হয়েছিল, যে আমরা যদি কনভোকেশনে পারফর্ম করি, তাহলে আমাদের অ্যাকাডেমিক্সে হার্ম করা হবে। সাপ্লি করে দেওয়া হবে।”
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ওই ছাত্রী অভিযোগ করেছিলেন, “আমাকে ঠেলে বিছানায় ফেলে দেওয়া হয়। হাসানুর জামান নাকে ঘুষি মারে। থ্রেট দিচ্ছিল, পাঁচ বছর তো এখানে থাকতে হবে, আমাদের বিরুদ্ধে গিয়ে কীভাবে থাকবি? যেরকম ভয় পেয়েছিলাম সেদিন, কখনও পাইনি। আমাকে বারবার বলা হচ্ছিল, চোখ নামিয়ে রাখ। কিন্তু আমি জাস্ট ওদের চোখে চোখটাই রাখতে পেরেছিলাম সেদিন, মুখে কোনও প্রতিবাদ করতে পারিনি। কারণ আমার শরীরটা কাঁপছিল।”
ছাত্রী জানান, আমি অভিযোগ করেছিলাম। তখন আমার বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করা হয়। এখন সেটা আদালতে মামলা চলছে। আমাদের সেই সময়ের প্রিন্সিপাল সব সময় বলতেন, মিটিয়ে নেওয়ার জন্য। অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হতো। অভিযুক্ত চিকিৎসক ছাত্রনেতা আলিম বিশ্বাস বলেন, “আমি এই ঘটনার সঙ্গে কোনওভাবেই যুক্ত নই। আমাকে জড়ানো হয়েছে।”