কিছুদিন আগেই আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দকে (Kinjal Nanda) আক্রমণ করেন পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, কিঞ্জল নন্দ (Kinjal Nanda) মেধার জোরে নয়, বরং ডোনেশন দিয়ে চিকিৎসক হয়েছেন। কেবল অনিকেত চট্টোপাধ্যায় নন, তাঁর অনেক অনুগামীরা তীব্র ভাষায় চিকিৎসক-অভিনেতা কিঞ্জল নন্দকে (Kinjal Nanda) আক্রমণ করেন। এবার তার উত্তর দিতেই নিজের(Kinjal Nanda) WBJEE র্যাঙ্ক কত হয়েছিল, তা প্রকাশ্যে আনেন কিঞ্জল নন্দ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দ লেখেন, “’ইচ্ছে হল তাই লিখছি। অনেকেই অনেক কথা বলছেন, সত্যটা একটু বলা উচিত। যেহেতু অনিকেত বাবুকে আমি কিছুটা চিনি এবং উনি আমার সিনিয়র সেই জায়গাতে শ্রদ্ধা জানিয়ে লিখছি, আমি যে বছর WBJEE দিই আমাদের পশ্চিমবঙ্গে টোটাল সিট ছিল বোধহয় ৯০০ এর কাছাকাছি। তখন এত মেডিক্যাল কলেজ হয়নি। আমি র্যাঙ্ক করেছিলাম ৮৫৯ জেনারেল। কিছুটা শেষের দিকে। জেলার কিছু সরকারি কলেজে চান্স পাচ্ছিলাম শেষের দিকে। যেহেতু বাবা মা একা থাকেন সেহেতু আমি বাইরে যেতে চাইনি। বরাবরই ঘরকুনো। তারপর কাউন্সেলিংয়ে কেপিসিতে পাই। তখন কেপিসিতে সরকারি ৫০টা সিট ছিল। তার মধ্যেই আমি প্রবেশ করি। সাড়ে পাঁচ বছরে আমার খরচ হয়েছিল ৫ লাখ।”
পাশাপাশি তিনি সাফ জানিয়ে দেন, এই পাঁচ লক্ষ টাকা তাঁর বাবার কাছ থেকে নেননি। তিনি ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। পাশাপাশি তিনি অঙ্ক ও কেমিস্ট্রির টিউশন করতেন। সেখান থেকে ইনকাম করা টাকায় তাঁর হাত খরচা চলতো। তিনি বলেন, তাঁর বাবার শিক্ষাই ছিল, বড় হয়েছ, নিজের টাকা নিজে ইনকাম করো। নিজের খরচ নিজে চালাও। এবার তিনি অনিকেত চট্টোপাধ্যায়কে উল্লেখ করে লেখেন, “ডাক্তারি পাশ করার পর নিজে কাজ করে, সৎ ভাবে রোজগার করে লোন শোধ করি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের SBI ব্রাঞ্চে। আপনি পরিচালক খুবই সম্মানীয় ব্যক্তি, সাধারণ জীবন যাপন করেন। তাই আপনার কথায় একটু সত্যতা আশা করি। কষ্ট দিয়ে থাকলে মাফ করবেন। শ্রদ্ধা নেবেন। আমার বাবা সবসময় শিখিয়েছেন মানুষ হতে।’”