আন্দোলনরত চিকিৎসকরা বলেছিলেন, ভয় যেমন ছোঁয়াচে, তেমনি ছোঁয়াচে সাহস। সেই সাহসে ভর করে আট থেকে আশি এখন রাস্তায় বেরিয়ে সরব হয়েছেন। নির্যাতিতার বিচার চাইছেন। এবার পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হলেন বেসরকারি বাস-মিনিবাস সংগঠনের মালিকরা (Kolkata Bus service)। তাঁরা পুলিশের বিরুদ্ধে জরিমানার নামে হেনস্তার অভিযোগ করেছেন। প্রয়োজনে তাঁরা বাস সার্ভিস বন্ধ রাখার হুমকি দিয়েছেন।
বুধবার অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির রাজ্য কমিটির বৈঠক হয়। সেখানেই যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কোনওভাবেই পুলিশের অত্যাচার আর মেনে নেওয়া হবে না। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ১২ সেপ্টেম্বর প্রত্যেকটি জেলার জেলা শাসকের অফিসে পুলিশের বিরুদ্ধে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হবে। পাশাপাশি আঞ্চলিক পরিবহন দফতর গুলিতেও ডেপুটেশন জমা দেওয়া হবে। তারপরেই পথে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাস মালিকরা। প্রয়োজন পড়লে শহরে বাস পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া (Kolkata Bus service) হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়।
নিজেদের অভিযোগ সম্পর্কে বলতে গিয়ে বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনের তরফে বলা হয়, শহরে বর্তমানে বেসরকারি বাসের অবস্থা অত্যন্ত করুন। বিভিন্ন কেস বা জরিমানার নামে পুলিশ নানাভাবে অত্যাচার করছে। হেনস্তা করছে। ১৫ বছরের পুরনো বাস হওয়ার কারণে আগামী মাস থেকে প্রায় দুই হাজার বাস রাস্তায় নামবে না। যার ফলে বাস সার্ভিসে একটা বড় ধরনের সঙ্কট দেখা দেবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মেয়াদ যাতে বৃদ্ধি করা হয় তা নিয়ে পরিবহন দফতর এবং আদালতের দ্বারস্থ হবেন বাস মালিকদের সংগঠনগুলি। সংগঠনগুলির দাবি মেয়াদ যাতে ২০ বছর করা হয়, সেই বিষয়ে পরিবহণ দফতরের সঙ্গে তারা আলোচনায় বসতে চায়। প্রয়োজনে তারা আদালতে যেতে পারে বলে হাইকোর্টের তরফে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে বাস থেকে তোলা নেওয়া বা জরিমানা নেওয়ার বিষয়ে কলকাতা পুলিশ বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে রয়েছে। সম্প্রতি একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে, যেখানে বাস থেকে পুলিশকে টাকা দিতে দেখা যায়। দাবি করা হয়, পুলিশ জরিমানা নিচ্ছে। তারপরেই নেটিজেনরা আরও একটি পোস্ট হাতিয়ার করে। ছবিটি ২০২৩ সালের আগস্টে। বেহালায় লরির ধাক্কায় ছাত্র মৃত্যুর কয়েকদিন পরে তোলা ছবি। সেই ছবি ভাইরাল হতেই কলকাতা পুলিশ নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আগের পোস্ট সরিয়ে নেয়।