কলকাতা: খুন করে পিসিশাশুড়ির দেহাংশ লোপাট করতে গিয়ে ধরা পড়ল মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা ফাল্গুনী ঘোষ ও আরতি ঘোষ। জানা গেছে সম্পর্কে তারা মা মেয়ে। তবে মা মেয়ের দুঃসাহসিকতা দেখে রীতিমতো শিহরিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি মঙ্গলবার সকালে নীলরঙের ট্রলি ব্যাগ নিয়ে গঙ্গার আহিরিটোলা ঘাটে (Kolkata) সন্দেহ জনক অবস্থায় ঘোরাঘুরি করছিল দুই মহিলা। স্থানীয়রা ব্যাগের মধ্যে কি আছে জানতে চাইলে উত্তর আসে মৃত কুকুরের দেহ। যদিও সেই উত্তরে সন্তুষ্ট হননি স্থানীয়রা। ঘটনায় পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে দুই মহিলা কে আটক করে। এরপর নীল ট্রলি ব্যাগ খুলতেই চোখ কপালে ওঠে পুলিশ অধিকারীকদের। তাতে রয়েছে মুণ্ডহীন একমহিলার দেহের তিনটি অংশ। ঘটনাস্থল থেকে দুই মহিলাকে আটক করে নর্থ পোর্ট থানায় নিয়ে এসে চলে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে মা ও মেয়ের হাতে মধ্যমগ্রামের বাড়িতে খুন হন বৃদ্ধা।
স্থানীয় সূত্রে খবর মধ্যমগ্রাম পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে বেশপল্লী এলাকায় গত আড়াই বছর ভাড়ায় এসেছে মেয়ে ফাল্গুনী ঘোষ ও মা আরতি ঘোষ। আসার পর থেকে প্রতিবেশীদের সাথে সদ্ভাব তেমন গড়ে ওঠেনি। মাঝে মধ্যেই রাতবিড়াতে অপরিচিত যুবকের আনাগোনা ছিল তাদের বাড়িতে। যার জেরে অতিষ্ট ছিল প্রতিবেশীরা। প্রায়ই পড়শির সাথে ঝগড়া লেগেই থাকত এমনটা অভিযোগ। বিষয়টা স্থানীয় কাউন্সিলর ও পুরসভাকেও জানান হয় হবে দাবি প্রতিবেশীদের।
স্থানীয় সূত্রের খবর বেশ কিছু দিন ধরে বাড়িতে পিসি শাশুড়ির যাতায়াত বাড়তে থাকে। মা মেয়ের সাথে বচসাও হত পিসিশাশুড়ির। সোমবার দুপুরে ওই অভিযুক্ত দুই মহিলাকে নীল ট্রলিব্যাগ বাড়ি আনতেও দেখা যায়। পরে বিকেলে তারা ঘর থেকে বেরিয়ে যান।
এদিন দীর্ঘক্ষণ অভিযুক্তদের বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় নর্থপোর্ট থানার পুলিশ আধিকারিক। বৃদ্ধ মহিলাকে খুনের পিছনে কিসের অভিসন্ধি! এর পিছনে আর কারা জড়িত তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মধ্যমগ্রামের বাড়ি ঘিরে ফেলে চলছে তল্লাশি ।অপরদিকে প্রয়োজনে বাড়ির মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে পুলিশ।