কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) কমিশনারের বদল হয়েছে। জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবিকে সামনে রেখে পুলিশ কমিশনারের (Kolkata Police) পদ থেকে বিনীত গোয়েলকে সরানো হয়। তাঁর বদলে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)কমিশনার হন মনোজ ভর্মা। কিন্তু ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমবার যখন সরকারে আসেন, সেই সময় শাসকের লাল চক্ষুর কারণ হয়েছিলেন মনোজ ভর্মা। তাঁকে বদলি করা হয়েছি।
২০১১ সালে প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ছিলেন। ক্ষমতায় আসার পরেই প্রথম যে কয়েকজনের বদলির তালিকা মমতা সরকার সেই সময় প্রকাশ করেছিলেন, তার মধ্যে অন্যতম নাম ছিল মনোজ ভর্মা। ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ পাওয়ার পরেই তৃণমূল মনোজ ভর্মার বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ করেছিলেন। ক্ষমতায় আসার পরেই তৃণমূল হাওড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারের বদলির নির্দেশ দিয়েছিল।
মনোজ বর্মা এর আগে কলকাতা পুলিশের ডিসি ট্রাফিক পদেও কাজ করেছেন। ব্যারাকপুরের অশান্ত পরিবেশ তিনি কঠোর হাতে সামলেছিলেন। একবার পুলিশকে লক্ষ্য করে ইঁট বৃষ্টি শুরু হয়। সেই সময় তিনি নিজে ঘটনাস্থলে থেকে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা করেন। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় সেই অশান্ত পরিবেশ সামলাতে গিয়ে মনোজ ভর্মা মাথাও ফাটে। জঙ্গল মহলের অস্থিরতার সময় দাপটের সঙ্গে কাজ করেছিলেন মনোজ ভর্মা। যদিও শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, বাম আমলে অশান্ত জঙ্গলমহলে মনোজ ভর্মা গ্রামবাসীদের ওপর অত্যাচার করতেন। একটি বাড়ি তৈরি করেছিলেন মনোজ ভর্মা। সেখানে পাখার সঙ্গে যুবকদের বেঁধে রাখা হতো। তাঁদের মারতেন মনোজ ভর্মা বলে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, মনোজ ভর্মা রাস্তা কেটে দিতেন। কলকাতার এই পরিস্থিতিতে কীভাবে মনোজ ভর্মাকে কীভাবে সিপি হিসেবে নিয়ে আসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে জানা যায়, তিনি অশান্ত পাহাড়ের সময় সেখানে ছিলেন। কঠোর হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। মনে করা হচ্ছে, কলকাতা পুলিশের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতেই মনোজ ভর্মাকে নিয়ে আসা হয়েছে এই পদে।