কলকাতা: লোকসভার নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকে জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে নজরদারি৷ এবার এই নজরদারি চলবে গেস্ট হাউস ও হোটেলগুলিতেও৷ নজরদারি চালাবে কলকাতা (Kolkata Police) ও বিধাননগর থানার পুলিশ৷ এই বিষয়ে হোটেল মালিকদের নিয়মাবলী সম্পর্কে অবগত করেছে পুলিশ ৷
পুলিশ সূত্র জানা গিয়েছে, হোটেলগুলিকে তাদের রেজিস্টার আপডেট করতে বলা হয়েছে৷ সেই সঙ্গে প্রতিদিনের ভিত্তিতে সমস্ত চেক-ইন সম্পর্কে পুলিশকে জানাতে হবে৷ অতিথিদের পরিচয়পত্রের কপি জমা দেওয়ার পরেই রুম দেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ কর্তৃপক্ষ৷ হোটেল মালিকদের প্রতিদিন সকাল ১০টার আগে অতিথিদের পরিচয়পত্রের ফটোকপিসহ বিবরণ থানায় জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে৷
সেই সঙ্গে হোটেল ও গেস্ট হাউসের কর্মীদের কোনও সন্দেহজনক কার্যকলাপ নজরে পড়লেই থানায় খবর দেওয়ার কথা জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ৷ একজন পুলিশের উচ্চপদস্থ অফিসার বলেন, “আমরা হোটেল কর্তৃপক্ষকে বলেছি যারা তাদের হোটেলে তিন দিনের বেশি রুম বুক করেছেন, সেই সব অতিথিদের সম্পর্কে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে৷ বহিরাগতদের সঙ্গে দেখা হওয়া অতিথিদের দিকেও নজর রাখতে বলা হয়েছে৷’’
বিধাননগরের অন্তত ১০টি ভিন্ন হোটেলে পুলিশ বেশ কয়েকটি দিক পরীক্ষা করেছে সমস্ত সিসিটিভি কাজ করছে কিনা, সেগুলি সমস্ত প্রবেশ এবং প্রস্থান রুটগুলিকে কভার করে কিনা, প্রয়োজনীয় অ্যাপগুলি উপলব্ধ আছে কি না এবং প্রয়োজন আছে কিনা৷ এলাকার ওসিকে স্থানীয় হোটেলগুলির সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রাখতে এবং জরুরি পরিস্থিতিতে সাড়া দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণে অভিযুক্ত দুই আইএস জঙ্গি কলকাতায় ঘাঁটি গেড়ে ছিল অন্তত ১৩ দিন৷ গত ১০ থেকে ১৪ মার্চ ও ২১ থেকে ২৮ মার্চ কলকাতায় ছিল দুই আইএস জঙ্গি আব্দুল মতিন ও মুসাভির হুসেন৷
ধর্মতলা, খিদিরপুর ও একবালপুর অঞ্চলের অন্তত আটটি হোটেলে ছিল তারা। কিন্তু এর মধ্যে গোটা দু’য়েক হোটেল মাত্র তাদের সম্পর্কে তথ্য পুলিশকে পাঠিয়েছিল। তাদের এই কার্যকলাপের পর নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন৷ তাই নির্বাচনের আগে হোটেল ও গেস্ট হাউসগুলিতে নজরদারিতে জোর দিয়েছে কলকাতা পুলিশ৷