বাংলাদেশ ছাত্র আন্দলনের জেরে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন জায়গার হামলার ছবির পাশাপাশি ভুয়ো ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ভাইরাল হওয়ায় নেটিজেনদের মধ্যে হিংসা ছড়াচ্ছে। এই ধরনের ভুয়ো সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ(Kolkata police)। বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের জেরে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই সেদেশে আওয়ামি লিগ এবং সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বহু জায়গায় আওয়ামি লিগ নেতা এবং উপজেলা প্রধানদের খুন করার ঘটনাও ঘটেছে। এদিকে হাসিনা সরকারের মন্ত্রীদের বাড়িতে আগুন ধরানো হয়েছে। হামলা হয়েছে আওয়ামি লিগ সাংসদ তথা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মাশরাফি মোর্তাজার বাড়িতে। তবে মাশরাফির বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ছবি দেখিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক শ্রেণির নেটিজেন দাবি করেন, পোড়ানো হয়েছে ক্রিকেটার লিটন কুমার দাসের বাড়ি।
এদিকে শুধু তাই নয়, আওয়ামি লিগের বহু নেতার নৃশংস খুনের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে বহু ক্ষেত্রেই সেই সব ঘটনায় মৃত আওয়ামি লিগ নেতাদের হিন্দু বলে দাবি করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে। যদিও সেটা সত্যি নয়। ঝিনাইদহ, চাঁদপুর সহ বহু জায়গায় আওয়ামি লিগ নেতাদের খুন করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে নিস্তার পাননি তাঁদের আত্মীয়রাও। কোথাও কাউকে পুড়িয়ে মারা হয় তো কোথাও শহরের মাঝখানে রক্তাক্ত অবস্থায় ঝুলিয়ে। তবে সেই সব ঘটনাকে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বলে প্রচার করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এই ধরনের ভুয়ো সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ(Kolkata police)। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ তারা লেখে, ‘প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু পোস্ট এবং ভিডিও আমাদের নজরে এসেছে যা বিভেদ এবং অশান্তি তৈরি করতে পারে। অনুরোধ, কোনওরকম গুজবে কান দেবেন না, উত্তেজক ভিডিও শেয়ার করবেন না। রাজ্য প্রশাসন সতর্ক এবং সজাগ রয়েছে। শান্ত থাকুন, শান্তি বজায় রাখুন।’
শেখ হাসিনা গতকাল বাংলাদেশ ত্যাগ করার পরই এই রাজ্যে উস্কানিমূলক পোস্ট করা থেকে বিরত থাকতে আহ্বান করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বিজেপির নাম করে অভিযোগ করেছিলেন যে গেরুয়া শিবির উত্তেজনা ছড়াতে ভুয়ো পোস্ট করছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এদিকে হাসিনা দেশত্যাগের আগেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে ১ কোটি হিন্দু শরণার্থী নাকি এবার পশ্চিমবঙ্গে আসবেন।