Nabanna Avijan: নবান্ন অভিযানে আহত সার্জেন্ট আজীবনের মতো দৃষ্টিশক্তি হারালেন

নবান্ন অভিযানে(Nabanna Avijan) আক্রান্ত হতে হয়েছে পুলিশকে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়েছে। এমনকি পুলিশকে মাটিতে ফেলে লাঠিপেটা করা হয়, লাথিও মারা হয়। ইটের আঘাতে মাথা ফেটে যায় একাধিক পুলিশ কর্মীর। মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযানে কড়া তৎপরতা ছিল পুলিশের। ডিউটিতে হাওড়ায় ছিলেন দেবাশিস চক্রবর্তী নামে কলকাতা পুলিশের এক ট্রাফিক সার্জেন্ট। ইটের আঘাতে চোখ ফেটে রক্ত বের হচ্ছিল তাঁর। ইএসডি ডিভিশনে কর্মরত ছিলেন। বুধবার তাঁর চোখে অস্ত্রোপচার হয়। তারপরই চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন,  দেবাশিসের বাম চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে গিয়েছে। সারাজীবনের মতো বাম চোখের দৃষ্টি হারিয়েছেন ওই সার্জেন্ট।

নবান্ন অভিযানে পুলিশ তৎপরতা সকাল থেকেই ছিল চোখে পড়ার মতো।  জলকামান, টিয়ার গ্যাসের সেল তো বটেই, রাস্তায় গর্ত খুড়ে ব্যারিকেড ভেঙে ঢালাই করে দেওয়া হয়েছিল, আনা হয়েছিল বড় বড় কন্টেনার। অশান্তির আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল। কিন্তু ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজের’ পুলিশের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত সংযত। অন্তত তেমনটাই দাবি করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।

কিন্তু পুলিশের ওপর একাধিক ক্ষেত্রে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ইটবৃষ্টি হয়েছে। হাওড়াতে মাটিতে ফেলে পুলিশকে লাথি মারা হয়েছে। লাঠিপেটাও করা হয়েছে। কিন্তু এই অভিযানেই ডিউটিতে গিয়ে মাত্র ৩৭ বছর বয়সেই চিরদিনের জন্য বাঁ চোখের দৃষ্টি হারালেন সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তী।

বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বন্‌ধ বেআইনি। এমনই অভিযোগ করে বনধের বিরোধিতায় হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন এক আইনিজীবী। সেই মামলা খারিজ করার পাশাপাশি মামলাকারীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি ভবিষ্যতে ওই আইনজীবীকে আদালতে জনস্বার্থ মামলা করা দায়ের করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন প্রধান বিচারপতি।