গল্ফগ্রিন (Kolkata) থেকে শুক্রবার সকালে এক মহিলার কাটা মুণ্ডু উদ্ধার করা হয়। এর দেড়দিনের মাথায় তদন্তের জাল প্রায় গুটিয়ে নিয়ে এসেছে (Kolkata) পুলিশ। একাধিক ব্যক্তিকে জেরা, নমুনা সংগ্রহ, ডিজিট্যাল ফুটপ্রিন্ট থেকে পুলিশ (Kolkata) ইতিমধ্যে মূল অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে। এইভাবে মর্মান্তিক খুন করার কারণও পুলিশ ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এনেছে। জামাইবাবুর প্রেমে সাড়া না দেওয়ার কারণেই খুন হতে হল খাদেজা বিবিকে। পুলিশের (Kolkata) তদন্ত থেকে এমনই তথ্য উঠে আসছে।
শনিবার এই ঘটনায় তদন্তের ভিত্তিতে একাধিক তথ্য সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরলেন ডিসি (এসএসডি) বিদিশা কলিতা। এদিন তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, মগরাহাটের বাসিন্দা খাদিজা বিবিকে খুন করা হয় ১২ ডিসেম্বর। খাওয়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে তাঁকে বাড়ি থেকে বের করা হয়। প্রথমে তাঁকে মাথায় আঘাত করা হয়। তারপর তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। তারপর তাঁর মৃতদেহকে তিন টুকরো করা হয়। শরীরের তিন টুকরোকে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে ফেলে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার তদন্তের জন্য রিজেন্ট পার্ক, গল্ফগ্রিন ও নেতাজিনগরের পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে তৈরি হয় সিট।
শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে ডিসি বিদিশা কলিতা জানান, “অভিযুক্ত সন্দেহে আমরা যাকে গ্রেপ্তার করেছি, সেই আতিকুর সম্পর্কে মৃত খাদিজা বিবির জামাইবাবু। বেশ কয়েকদিন ধরে খাদিজাকে সে প্রেমের প্রস্তাব দিচ্ছিল। কিন্তু তা গ্রহণ করেনি খাদিজা। তা সত্ত্বেও বারবার তাঁকে নানাভবে উত্যক্ত করছিল আতিকুর। দুদিন আগে বিরক্ত হয়ে খাদিজা তার মোবাইল নম্বর ব্লক করে দেয়। একে প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি, তারপর মোবাইল নম্বর ব্লক করে দেওয়ায় কোওভাবেই আর যোগাযোগ করতে পারছিল না। সবমিলিয়ে প্রবল রাগ হয় আতিকুরের। সেই রাগ থেকে এই হত্যাকাণ্ড। ঘটনার দিন বাড়ি থেকে কলকাতায় কাজ করতে এসেছিল খাদিজা। সেদিনই ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কলকাতায় আচমকা আতিকুরের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়ে যায়। আতিকুর তাঁকে খাওয়াদাওয়ার পর ফেরার কথা বললে রাজি হন খাদিজা। সেই সুযোগ তাঁকে কোথাও নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়। ঘটনা ঠিক কোথায় ঘটেছে, তা জানতে তদন্ত এখনও চলছে।”