Kolkata Police’s STF: অস্ত্র পাচার চক্র ভাঙতে বদ্ধপরিকর! বিহারে অভিযান চালালো কলকাতা পুলিশ

অত্যাধুনিক অস্ত্র তৈরির চক্রের সন্ধান পেয়ে বড়সড় সাফল্য পেল কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police’s STF)  স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF)। বিহারের মধুবনিতে যৌথ অভিযান অস্ত্র পাচার চক্র ভাঙতে বদ্ধপরিকর! বিহারে অভিযান চালালো কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police’s STF) ও বিহার পুলিশের এসটিএফ। যৌথ অভিযানে (Kolkata Police’s STF) চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছে (Kolkata Police’s STF) চার কুখ্যাত অস্ত্র কারবারিকে। উদ্ধার হয়েছে একটি ৭ এমএম পিস্তল ও অস্ত্র তৈরির প্রচুর সরঞ্জাম, যার মধ্যে লেদ মেশিন ও ড্রিল মেশিন উল্লেখযোগ্য। এসটিএফের দাবি, এই কারখানাগুলিতে তৈরি হওয়া অস্ত্র বাংলায় পাচারের পরিকল্পনা ছিল। পশ্চিমবঙ্গ থেকেই এই অস্ত্রের বরাত গিয়েছিল বিহারে। তবে গোপন সূত্রে আগে থেকেই এই চক্রের খোঁজ পায় কলকাতা পুলিশ। পরিকল্পনা করে ওত পেতে থাকেন তারা। দুই রাজ্যের পুলিশের যৌথ পরিকল্পনায় অভিযান চালানো হয়। মধুবনির দুটি স্থানে অস্ত্র তৈরির কারখানা চিহ্নিত করা হয়। এই কারখানাগুলি অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে অস্ত্র তৈরির কাজে ব্যবহৃত হচ্ছিল।

অস্ত্র চোরাচালান রুখতে পুলিশের এই অভিযান (Kolkata Police’s STF) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এসটিএফ জানিয়েছে, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য বের করার চেষ্টা চলছে। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়াও চলছে। অস্ত্র পাচারের রুট বন্ধ করতে দুই রাজ্যের পুলিশের সমন্বয়ে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। প্রশাসনের মতে, এই সাফল্য ভবিষ্যতে অস্ত্র চোরাচালানের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ হিসাবে চিহ্নিত হবে।

কলকাতায় একাধিক দুষ্কৃতী কর্মকাণ্ডে বিহারের যোগ পাওয়া গিয়েছে। সম্প্রতি শিয়ালদার কাছে বৈঠকখানা রোডে ব্যাপক পরিমাণে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল। সেই সময় পুলিশ অভিযান চালিয়ে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। শুধু তাই নয়, ঝাড়খণ্ডের সীমান্তে শিউড়ি থানা এলাকায় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল। সেখানেও বিহারের নাম উঠে আসে।

শুধু তাই নয়, সম্প্রতি বাংলায় সুপারি কিলিংয়ে একাধিকবার বিহারের নাম উঠে আসে। কসবার কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে খুনের চেষ্টা করা হয়। ঘটনায় পুলিশ ১৭ বছরের এক কিশোরকে গ্রেফতার করে। অভিযোগ ওঠে, টাকার বিনিময়ে সে সুশান্ত ঘোষকে খুন করতে এসেছিল। সম্প্রতি মালদায় তৃণমূল নেতাকে খুন করা হয়। সেখানে সুপারি কিলিংয়ে বিজেপির নাম উঠে আসে।