মুখ্যসচিবের অনশন প্রত্যাহারের শর্ত না মেনেই আজ নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠর করতে যাচ্ছেন আন্দোলনকারী (Junior doctors Protest) জুনিয়র চিকিৎসকরা। এই পরিস্থিতিতে বৈঠক ভেস্তে (Junior doctors Protest) দেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন তৃণমূলের নেতা কুণাল ঘোষ। এই বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, যদি বৈঠক ভেস্তে যায় তাহলে সাধারণ মানুষ যেন দেবাশিস হালদার ও অনিকেত মাহাতোর (Junior doctors Protest) নামে FIR করেন।
কুণাল ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘যদি মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠক পরিকল্পিতভাবে অন্যায্য জেদে ভেস্তে দিয়ে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ধর্মঘটের নামে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা হয়, তাহলে বাংলার কোনও রোগীর কোনো ক্ষতি হলে নিকটবর্তী থানায় ডাঃ দেবাশিস হালদার ও ডাঃ অনিকেত মাহাতোর নামে যেন এফআইআর হয়। তাঁরাই চক্রান্তের মাতব্বর। তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসকের নাম যোগ করবেন। চিকিৎসা আপনার মৌলিক অধিকার। প্ররোচনা দিয়ে তা থেকে বঞ্চিত কার আইনত অপরাধ।’ পাশাপাশি কুণাল ঘোষ লেখেন, অনশনের কারণে যদি জুনিয়রদের কারুর কোনো ক্ষতি হয়, তাহলেও মূলত এরা দুজন, এদের প্ররোচনাদাতারা দায়ী থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী বারবার অভিভাবকোচিত সংবেদনশীলতা দেখাচ্ছেন। তাতে সাড়া দিয়ে অনশন প্রত্যাহার করে আলোচনা হোক। বাম, অতি বাম, বিরোধীদের ফাঁদে পা দেবেন না।’
এরপরেই তীব্র ভাষায় কুণাল ঘোষের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দ। তিনি বলেন, ‘সিদ্ধান্ত শুধু অনিকেত বা দেবাশিস হালদার নেয়নি,সিদ্ধান্ত ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট নিয়েছে। প্রথম দিন থেকেই আমরা আলোচনায় বসতে চেয়েছিলাম,কিন্তু উৎসব চলায় সেটা সম্ভব হয়নি। আর বৈঠক ভেস্তে দেওয়ার কথা যদি বলেন, অনশনে বসার আগে দু’বার ইমেল করা হয়েছিল, যার উত্তর দিতেই আপনারা ভুলে যান। তাই সমস্যা সমাধান করার সদিচ্ছের প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। যেচে পড়ে কেউ আন্দোলন করতে আসে না। ডাক্তারিতে অনেক কাজ থাকে। যাই হোক,ডাক্তার না হলে সেটা বোঝানো খুব মুশকিল। ব্যক্তি আক্রমণটা স্বভাব হয়ে গিয়েছে।’