রাজ্যসভার উপনির্বাচনে প্রার্থী ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Ritabrata Banerjee) প্রার্থী করতে চলেছেন। ইতিমধ্যে সর্বভারতীয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই কথা ঘোষণা করা হয়েছে (Ritabrata Banerjee) । এরপরেই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এই বিষয়ে মন্তব্য করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। এই প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, “রাজ্যসভার উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Ritabrata Banerjee) মনোনয়ন স্বাগত জানাচ্ছি। ও যোগ্য প্রার্থী।”
এই প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ লেখেন, “রাজ্যসভায় থাকাকালীন ওর পারফরমেন্স ছিল অনবদ্য। সংসদে একজন দক্ষ সাংসদ হিসেবে ছাপ রেখেছিল ঋতব্রত। পরে, রাজ্য আই এন টি টি ইউ সি সভাপতি হিসেবেও যোগ্য সংগঠকের পরিচয় দিয়েছে। ঋতব্রতকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।” আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে তৃণমূলের রাজ্য সভার সাংসদ জহর সরকার পদত্যাগ করেছিলেন। সেই আসনে এতদিন কেউ ছিলেন না। সেখানেই উপনির্বাচন হওয়ার কথা। তৃণমূলের থেকে প্রার্থী হচ্ছেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংসদ হিসাবে আরও ১৫ মাসের মেয়াদ বাকি ছিল জহর সরকারের।
তৃণমূলের তরফে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম রাজ্যসভার সাংসদের উপনির্বাচনের জন্য ঘোষণা করা হয়। ইতিমধ্যে সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে যোগ্য প্রার্থী বলে মন্তব্য করেছেন। এখন সেই পথেই হাঁটলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনিও লিখেছেন, রাজ্যসভার উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোনয়ন স্বাগত জানাচ্ছি। ও যোগ্য প্রার্থী।
এর আগে সিপিএমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমদিকে তিনি ছিলেন এসএফআই নেতা। এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকও হয়েছিলেন তিনি। একটা সময়ে তৃণমূলের বিরোধিতা করার ক্ষেত্রে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের জুড়ি মেলা ভার ছিল। ২০১৪ সালে বামফ্রণ্টের তরফে তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিল। ২০১৭ সালে তাঁকে নিয়ে তুমুল সমালোচনার সৃষ্টি হয়। তাঁকে নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জেরে তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়। তারপর তিনি তৃণমূলে যোগ দান করেন। তাঁকেই তৃণমূল রাজ্যসভার সাংসদ করেন।
রাজ্যসভার প্রার্থী করার পর ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি পোস্ট করে লেখেন, তব চরণে মাথা নত। এই প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য লেখেন, “ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে যাদের বিতাড়িত করা হয় তারাই তৃণমূলের সম্পদ। এটা প্রমাণ হল।”