বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদে এবার রাস্তায় নামলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। নগেন্দ্র মিশন এবং বাঙালি নাগরিক ফোরাম একটি মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল (Kunal Ghosh)। সেই মিছিলেই জাতীয় পতাকা নিয়ে হাঁটেন তৃণমূলের নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। এই মিছিলে হাঁটতে গিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
কুণাল ঘোষ বলেন, “বাংলাদেশে যা হচ্ছে আমরা তার প্রতিবাদ করছি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই বলেছেন যে যেহেতু আমরা (পশ্চিমবঙ্গ) একটি রাজ্য তাই এই আন্তর্জাতিক বিষয়ে আমাদের কোনও ভূমিকা নেই। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার কিছুই করছে না। বাংলাদেশে সহিংসতা বন্ধে তাদের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয় চলতি বছরের ৫ আগস্ট। তারপর থেকেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার ক্রমেই বেড়ে চলে। সংখ্যালঘু অত্যাচারে সেখানে অভিযুক্ত খোদ সেনা। হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর গ্রেফতারি ঘিরে আরও উত্তাল হয় পরিস্থিতি। অন্যদিকে, ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি করেছেন কোটা বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা। ‘জুলাই বিল্পবের’ ছাত্র নেতারাও ইসকনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। সারজিস আলম চট্টগ্রামে ইসকন এবং হিন্দুদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়েছেন সম্প্রতি। এই আবহে ভারতের রাস্তাতেও লোক নেমেছে। বাংলাদেশি মৌলবাদে বিরুদ্ধে স্লোগান উঠেছে এখানে। ভারত সরকারও একাধিক বিবৃতি প্রকাশ করে ওপারের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশে একের পর এক অত্যাচারের খবর প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। বাংলাদেশে হিন্দুদের জোর করে পদত্যাগ করানো হয়েছে। হিন্দুদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৌদ্ধদের মঠ ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। জোর করে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এমনকী হিন্দু হওয়ার কারণে চট্টগ্রাম প্রিমিয়াম কলেজের ভিসিকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। ঘটনা জেরে সরব হয়েছে ইসকন থেকে এপার বাংলার রামকৃষ্ণ মিশন। ইতিমধ্যে কঠোর ব্যবস্থা দেওয়ার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গত কয়েকমাস ধরে চরম অত্যাচার করা হলেও এখনও আন্তর্জাতিক মহল কোনও কঠোর ব্যবস্থা নেয়নি।