ভোটের বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলেছে কুণাল ঘোষ(Kunal ghosh) ও মানিকতলার বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবের ( Kalyan choube) মধ্যে। এমনকী, কুণালকে ‘পচা কল্যাণ’ বলতেও শোনা যায়। তার আবার তীব্র বিরোধিতা করেন বিজেপি প্রার্থী। আজ মানিকতলা কেন্দ্রে তৃণমূল জিততেই(by election )কল্যাণের উদ্দেশ্যে এক হাঁড়ি মিষ্টি(sweet) পাঠালেন কুণাল। শুধু তাই নয়, বিজেপি প্রার্থীর একটি ছবিও শেয়ার করলেন নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায়। লিখলেন ‘পিকচার অফ দ্য ডে’।
কুণাল আগেই বলেছিলেন, মানিকতলায় সুপ্তি যত ভোটে জিতবেন, সেই অনুযায়ী কল্যাণকে গুনে গুনে রসগোল্লা পাঠানো হবে। ফলঘোষণার পর দেখা গিয়েছে, সুপ্তি জিতেছেন ৬২ হাজারের কিছু বেশি ভোটে। কুণালেরা ৬৩টি রসগোল্লা পাঠিয়েছেন কল্যাণের বাড়িতে। শুধু কথার কথা নয়। শনিবার বিকালে কুণালের দূতেরা পৌঁছে যান উল্টোডাঙায় কল্যাণের বাসস্থানে। সেটি একটি বহুতল আবাসন। বাইরের কেউ ঢুকতে গেলে সই করার বন্দোবস্ত থাকে। ওই আবাসনের অফিসে যান কুণালের দূতেরা। সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী ফোনে কথা বলে কুণালের দূতদের জানান, কল্যাণের ফ্ল্যাটে কাউকে তখন যেতে দেওয়া যাবে না। ফলে ওই কর্মীর হাতেই ৬৩টি রসগোল্লা সমেত হাঁড়ি তুলে দেন তৃণমূল কর্মীরা। সেটির ভিডিয়োও করা হয়। তবে সেই রসগোল্লা কল্যাণের ঘর পর্যন্ত পৌঁছেছে কি না, তিনি চেখে দেখেছেন কি না, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি।
সুপ্তি মানিকতলায় প্রার্থী হলেও ভোটের কয়েক দিন আগে থেকেই লড়াইটা কুণাল বনাম কল্যাণে পরিণত হয়েছিল। গত মঙ্গলবার কুণাল একটি অডিয়ো ফাঁস করে দাবি করেন, কল্যাণ তাঁকে ফোন করে প্রস্তাব দিয়েছেন, তিনি যদি বিজেপিকে এই ভোটে ‘সাহায্য’ করেন, তা হলে ক্রীড়াক্ষেত্রে বড় পদ ‘পাইয়ে’ দেবেন। যা কুণালের মতে, সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের পদকে ব্যবহার করে কল্যাণের তাঁকে ‘ঘুষ’ দেওয়ার চেষ্টা। এ নিয়ে ভোটের আগের দিন সরগরম হয়ে ওঠে মানিকতলার রাজনীতি। পাল্টা কল্যাণ সাংবাদিক সম্মেলন করে বিবিধ যুক্তি দিয়েছিলেন। বিজেপি নেতারাও ঘরোয়া আলোচনায় বলতে শুরু করেছিলেন, কল্যাণ রাজনীতির লোক নন বলেই ওই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। কুণালের এক ঘনিষ্ঠ নেতা বলেন, ‘‘দাদা গত মঙ্গলবার হাটে হাঁড়ি ভেঙেছিলেন। শনিবার হাঁড়িভর্তি রসগোল্লা পাঠিয়ে দিলেন।’’