বার বার জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রশাসনের শরীরী ভাষা ইতিবাচক লাগেনি (Kunal Ghosh)। তবে তাঁরা আরজি করে নির্যাতিতার বাবা-মা ও শুভাকাঙ্খী মানুষের অনুরোধে অনশন তুলে নিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে ফের এক বার ভিডিও বার্তা পাঠালেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি (Kunal ghosh) জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন তোলার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হয়।
কুণাল ঘোষ ভিডিও বার্তায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিভাবকের মতো, সংবেদনশীল সরকারের প্রধানের ভূমিকায় ছিলেন। তিনি অতীতেও গিয়েছেন ধরনা মঞ্চে, বাড়িতে ডেকেছেন, নবান্নে ডেকেছেন, মুখ্যসচিবকে পাঠিয়েছেন। বাংলার স্বাস্থ্যব্যবস্থা সেরা স্বাস্থ্যব্যবস্থা। বামেদের থেকে অনেক এগিয়ে। বিজেপি রাজ্যগুলোর থেকে অনেক এগিয়ে। কোথাও কোনও কাজ বাকি থাকলে, কিংবা ঠিক করতে হলে, বা কোনও বিচ্ছিন্ন খারাপ ঘটনা রুখতে গেলে যা যা করার দরকার, তিনি করেছেন। বাম অতি বামেদের প্ররোচনায় পা দিয়ে কৃতী ছাত্রছাত্রীদের নিজেদের শরীরে চাপ দাওয়াটা ঠিক হচ্ছে না।” তিনি বার্তা দেন, “আরও ভালোভাবে বাংলার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো এগোবে। সরকারি জায়গায় যদি কোথাও কোনও ত্রুটি বিচ্যুতি সংশোধনের দরকার হয়, সেটা দেখা হবে। তেমনি জুনিয়র ডাক্তাররা, প্রাইভেট সেক্টরে সাধারণ মানুষের ওপর চাপটা কমে, সেটাও আপনারা খেয়াল রাখবেন, আমরা আশা রাখব।”
এর আগে একাধিকবার জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনকে আক্রমণ দিয়েছেন। এমনকী সারারাজ্য ব্যাপী মঙ্গলবার চিকিৎসকদের ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল। সেই ঘটনার জেরে কোনও রোগীর যদি ক্ষতি হয়, তা হলে যেন জুনিয়র চিকিৎস দেবাশিস হালদার ও অনিকেত মাহাতোর নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এছাড়াও কুণাল ঘোষের পাশাপাশি দেবাংশু আচার্য জুনিয়র চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে মাওবাদীর তুলনা করে। যার জেরে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশাপাশি সিনিয়র চিকিৎসকরাও ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছিলেন। তবে বর্তমানে জুনিয়র চিকিৎসকরা অনশন প্রত্যাহার করে নিলেও আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে সাফ জানিয়ে দেন। তাঁরা আগামী শনিবার গণকনভেনশনের ডাক দিয়েছিলেন।