সিভিক ভলেন্টিয়ারদের (Civic Volunteers) নিয়ে বার বার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্ট সিভিক ভলেন্টিয়ারদের (Civic Volunteers) নিয়ে ছয় দফা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে হলফ নামা জমা দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে, রাজ্যপালও সিভিক ভলেন্টিয়ারদের (Civic Volunteers) বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে চিঠি পাঠিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের (Civic Volunteers) নিয়ে বড় ঘোষণা করল লাল বাজার। লালবাজার সিভিক ভলেন্টিয়ারদের পুলিশ প্রশিক্ষণ দেবে বলে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, নভেম্বরের শুরু থেকেই এই প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করবে। ৪ নভেম্বর থেকে পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে নন রেসিডেন্সিয়াল ট্রেনিং শুরু হবে। ২৮ অক্টোবর সিভিক ভলেন্টিয়ারদের প্রথম পর্যায়ে নাম জমা দেওয়ার শেষ দেওয়ার শেষ দিন। সামনে কালীপুজো। তারপরেই সিভিক ভলেন্টিয়াররা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজে ব্যস্ত হয়ে যাবে। পুজোর মরশুমের পরে কিছুটা কাজের চাপ কমবে পুলিশের। পাশাপাশি সিভিক ভলেন্টিয়ারদেরও চাপ কমবে। এই পরিস্থিতিতে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের প্রশিক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়ে লালবাজার। প্রসঙ্গত, আগে একাধিক জায়গায় নিরাপত্তার কাজে যোগ দিতেন সিভিক ভলেন্টিয়াররা। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের তরফে পরিষ্কার করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, স্কুল, হাসপাতালের মতো সেনসেটিভ জায়গায় সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় রাখা যাবে না। সেক্ষেত্রে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজেই আরও বেশি সিভিক ভলেনটিয়ার দেখতে পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে বার বার সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আরজি করে প্রধান অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়। তিনি কীভাবে ওতো রাতে আরজি করের চেস্ট ডিপার্টমেন্টের সেমিনার হলে পৌঁছালেন সেই নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পাশাপাশি কী প্রশিক্ষণের পরেই সিভিক ভলেন্টিয়ারদের কাজে বহাল করা হয়, সেই নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। মুখ্যমন্ত্রী মহিলা নিরাপত্তা নিয়ে রাতের সাথী বলে একটি প্রকল্প নেন। সেখানেও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে প্রচুর সিভিক ভলেন্টিয়ার। প্রশ্ন ওঠে আরজি করের নির্যাতিতার প্রধান অভিযুক্ত যেখানে সিভিক ভলেন্টিয়ার। সেখানে কীভাবে রাতে কর্মরত মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীরা সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ওপর ভরসা করতে পারবেন।