প্রবীণ বিজেপি নেতা এবং দেশের প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী লাল কৃষ্ণ আদবানি (Lal Krishna Advani) বুধবার গভীর রাতে স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে, তারপরে তাকে দ্রুত দিল্লির এইমস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডা এইমস-এর ডিরেক্টর এম শ্রীনিবাসের সঙ্গে কথা বলে আডবাণীর স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
এদিকে, দিল্লি পুলিশ এইমস ক্যাম্পাস এবং বেসরকারি ওয়ার্ডগুলির গেটে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডা প্রবীণ বিজেপি নেতা এবং প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী এল কে আডবাণীর স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজখবর নেন। সূত্রের খবর, ৯৬ বছর বয়সী আডবাণীর বার্ধক্যজনিত সমস্যা রয়েছে। আদবানির অবস্থা স্থিতিশীল এবং তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে হাসপাতাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
লাল কৃষ্ণ আদবানি এইমস-এ ভর্তি হওয়ায় দিল্লি পুলিশ এইমস ক্যাম্পাসের গেটে এবং বেসরকারি ওয়ার্ডের গেটে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে। এইমস-এর গেটে দিল্লি পুলিশের কর্মীও মোতায়েন করা হয়েছে। দিল্লির এইমস-এ ভর্তি প্রবীণ বিজেপি নেতা এল কে আডবাণীর সঙ্গে বেশ কয়েকজন ভিআইপি-র দেখা করার সম্ভাবনা রয়েছে, যার ফলে দিল্লি পুলিশ এইমস-এ ভিআইপি-র উপস্থিতির প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
গত বছরের ৩১শে মার্চ, প্রবীণ নেতা লাল কৃষ্ণ আদবানিকে রাজনীতিতে তাঁর দীর্ঘ অবদানের জন্য ভারতরত্ন প্রদান করা হয়। কিন্তু, অসুস্থতার কারণে তিনি রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছতে পারেননি। ২০১৫ সালে তিনি পদ্মবিভূষণে ভূষিত হন। লাল কৃষ্ণ আদভানি তিন মেয়াদে বিজেপির সভাপতি ছিলেন। আদবানি ২০০২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ভারতের উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
আদবানি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘে (আরএসএস) যোগদানের মাধ্যমে তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন। এরপর তিনি রাম মন্দির আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিলেন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি বিজেপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্যও। তিনি গুজরাটের গান্ধীনগর থেকে ৭ বারের সাংসদ এবং ৪ বারের রাজ্যসভার সাংসদ। আদবানি শেষবার ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে গান্ধীনগর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং জয়ী হয়েছিলেন। এরপর থেকে অসুস্থতার কারণে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি।