নিউজ ডেস্ক, খবরএইসময়ঃ আপনার ফুসফুসের এক্স-রে করে সেই ছবি ওয়েবসাইটে আপলোড করলেই তৎক্ষণাৎ জানতে পারবেন আপনি করোনা আক্রান্ত কি না ! হ্যাঁ ঠিক তাই। এখন আরটিপিসিআর বা অ্যান্টিজেন টেস্ট নয়, করোনা (COVID 19) ধরবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তথা খাস কলকাতার ৪ পড়ুয়ার এমনটাই দাবি। কলকাতার এই ৪ পড়ুয়ার হাত ধরেই আত্মপ্রকাশ করেছে www.covid-ai.in-এর। ফুসফুসের এক্স-রে করে সেই ছবি ওয়েবসাইটে আপলোড করলেই তৎক্ষণাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা জানিয়ে দেবে আপনি করোনা আক্রান্ত কি না।আর তৃতীয় ঢেউয়ে করোনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের সাহায্য করবে তাঁদের এই ওয়েবসাইট।
ইতিমধ্যেই ওয়েবসাইটটি লাইভ হয়ে গিয়েছে। চলছে আরও বিন্যাসের কাজ। ৪ জনই মৌলানা আবুল কালাম আজ়াদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত আরসিসিআইআইটি কলেজের ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের ছাত্র। করোনার জেরে বাড়ি থেকে খুব একটা বেরনো হয়নি, তাই একেবারে প্রথম ঢেউ থেকেই এই মডেলে কাজ করছিলেন ইশান চৌধুরী, কুশল বণিক এবং কুন্তল পাল ও অর্পণ মুখোপাধ্যায়। সাফল্যের সঙ্গে তা আত্মপ্রকাশ করায় উচ্ছ্বসিত তাঁরা।
সংবাদসংস্থা টিভি নাইন বাংলা সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈকত মৈত্র এ বিষয়ে জানান, এই কাজ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। পেটেন্ট করে কীভাবে এই আবিষ্কারকে বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার করা যায় সেই বিষয়টা তাঁরা দেখবেন। পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে এহেন আরও উদ্ভাবনী প্রকল্পের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।পড়ুয়া কুশল বনিক জানান, এই ওয়েবসাইটের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রাথমিকভাবে ৮০ থেকে ৮২ শতাংশ কার্যকরিতার সঙ্গে করোনা শনাক্ত করতে পারে। ফুসফুসের প্যাটার্নে যাবতীয় পরিবর্তনকে নিজের তথ্যসম্ভারের সঙ্গে মিলিয়ে করোনার রিপোর্ট দেয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। পরীক্ষার ফল পাওয়া যায় ২-৩ সেকেন্ডে। সর্বোচ্চ ৫ সেকেন্ড সময় লাগতে পারে এই ওয়েবসাইটে।
সংবাদসংস্থা টিভি নাইন বাংলা সূত্রে জানা গিয়েছে, কুন্তল জানিয়েছেন , “এই মডেলের কপিরাইটের জন্য ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের কাছে আবেদন করা হয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতাল ও অন্য়ান্য সংস্থার মাধ্যমে এই মডেল সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।” ওয়েবসাইটে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন ৪ পড়ুয়া। যাতে পরপর পরীক্ষা থেকে নিজেই করোনা শনাক্তকরণের পদ্ধতি আরও নিখুঁতভাবে শিখে নিতে পারে সে। তাই লাগাতার পরীক্ষায় আরও মজবুত হয়ে উঠছে তাঁদের ওয়েবসাইট।
এরপর,কুন্তল আরও জানান, তৃতীয় ঢেউয়ে চিকিৎসকদের সাহায্য করাই তাঁদের উদ্দেশ্য। তাই সময় অপচয় না করে লাগাতার আপডেট হচ্ছে ওয়েবসাইটটি। নির্মাতাদের দাবি, তৃতীয় ঢেউয়ের সময় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ নিখুঁত রিপোর্ট দিতে পারবে এটি। তবে বারবার তাঁরা জানিয়েছেন, এই পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা কখনওই অন্য পন্থার বিকল্প হতে পারে না। যেখানে বিপুলভাবে আরটিপিসিআর পরীক্ষা করা সম্ভব নয়, সেখানে ভিত্তি হতে পারে এটি।