খবর এইসময়,নিউজ ডেস্ক : বুধবার সকালে সংসদ ভবনে প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে রাহুল গান্ধী বৈঠক করেন কিন্তু সেখানে তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধি হাজির না থাকায় মমতা ও সনিয়ার বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক মহলে একটি জল্পনা শুরু হয়েছিল । তবে পরে আজকের বৈঠকে সনিয়া তনয় হাজির থাকায় সেই মতপার্থ্যকের জল্পনায় সাময়িক দাঁড়ি পড়ে গিয়েছে।
প্রায় দু’বছর পর আজ বুধবার ১০ জনপথে হাত শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব সোনিয়ার সঙ্গে দেখা করেন মমতা। সেখানে ছিলেন রাহুল গান্ধীও।তাঁদের মধ্যে প্রায় ৪০ মিনিটের বৈঠক হয়। বৈঠকের পর মমতা বলেন, ‘এক কাপ চায়ের জন্য সোনিয়াজি ঢেকেছিলেন। রাহুলজিও ছিলেন। সার্বিকভাবে আমরা রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি।’ বুধবার সকালেই সংসদে বিরোধী দলগুলি একটি জরুরি বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেস হাজির না থাকলেও সোনিয়া-রাহুলের সঙ্গে বৈঠকে পেগাসাস ‘হ্যাক’, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান মমতা। তিনি বলেন, ‘পেগাসাস, করোনাভাইরাস, বিরোধী ঐক্য নিয়ে আলোচনা করেছি। ভালো বৈঠক হয়েছে। ইতিবাচক বৈঠক হয়েছে। আমার আশা যে ভবিষ্যতে ইতিবাচক ফলাফল মিলবে।’
সম্ভাব্য বিরোধী জোটের ‘মুখ’ কে হবেন, তা নিয়েও উদার অবস্থান নেন মমতা। ১০ জনপথের বাইরে বিরোধী ঐক্যের উপর জোর দিয়ে মমতা বলেন, ‘একা আমি কিচ্ছু নই। বিজেপিকে হারানোর জন্য সবাই একসঙ্গে আসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমি থোড়াই লিডার , আমি তো ক্যাডার, আমি স্ট্রিট ফাইটার।’ সেই মন্তব্যের কিছুক্ষণ আগে সাংবাদিকদের সঙ্গেও আলোচনায় একই সুরে মমতা বলেছিলেন, ‘আমি রাজনৈতিক জ্যোতিষী নই। এটা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে। অন্য কেউ নেতৃত্ব দিলেও আমার কোনও অসুবিধা নেই।’
আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রস্তাবিত বিরোধী জোট গঠনের প্রেক্ষাপটে কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে এগোনোর প্রশ্নই যে কার্যত নেই, সেটাও একের পর এক কংগ্রেস নেতার সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমেই বুঝিয়ে দিচ্ছেন মমতা। গতকাল কংগ্রেস নেতা তথা মধ্য প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের সঙ্গে তাঁর বৈঠক থেকে শুরু করে এ দিন সনিয়া-রাহুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ; তৃণমূল সুপ্রিমো কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়েই এই জোটে শান দিতে চাইছেন, সেই ছবিটা আপাতত স্পষ্ট। তবে ২০২১ সালে বিজেপিকে রুখে দেওয়ার পর তাঁকে যে অবহেলা করা যাবে না, তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা।