Shyamnagar: ভূমিপুত্র সংরক্ষণ আইন পাশের দাবীতে কয়েক হাজার সদস্যদের মিছিল বাংলা পক্ষের

 

নিজস্ব প্রতিনিধি, শ্যামনগর: বর্তমান সময়ে প্রতিটা রাজ্যই তাদের রাজ্যের ভূমিপুত্রদের স্বার্থ সুরক্ষিত করতে সমস্ত কাজে ভূমিপুত্র সংরক্ষণের পথে হাঁটছে ।  কর্ণাটক, গোয়া, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, এমনকি গুজরাটেও ভূমিপুত্র সংরক্ষণের আইন পাশ হয়েছে বা আইন পাশের ঘোষণা হয়েছে।    এদিকে বাংলায় কাজ আছে, অথচ বাঙালি সহ ভূমিপুত্রদের কাজ নেই।

এরই মধ্যে আবার বিজেপি সাংসদ জন বার্লা, বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা, সৌমিত্র খাঁ, বিজেপি বিধায়ক গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা সহ একাধিক নেতা বারবার বাংলা ভাগের পক্ষে সওয়াল করেছেন। এরপরই বাংলাপক্ষ আদাজল খেয়ে নেমে পরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা গুলিতে। এবার অন্যান্য রাজ্যের মতো বাংলাতেও অবিলম্বে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ আইন পাশের দাবিতে এবং বাংলা ভাগের ঘৃণ্য চক্রান্তের বিরুদ্ধে ভারতের বাঙালির একমাত্র জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষ লড়াই শুরু করেছে। আজ সেই লড়াইয়ের অংশ হিসেবে বাংলা পক্ষ উত্তর ২৪ পরগণা শিল্পাঞ্চল শাখার উদ্যোগে রবিবার শ্যামনগর স্টেশন থেকে শ্যামনগর লোক কল্যাণ সংঘের মাঠ পর্যন্ত একটি মিছিল ও মিছিল শেষে এক পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

এদিনের এই সভায় বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক মাইতি, মনন মন্ডল, ডঃ অরিন্দম বিশ্বাসের মত শীর্ষ পরিষদ সদস্যরা, বিভিন্ন জেলা সংগঠনের সম্পাদক ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এদিনের সভায় বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বাংলায় কাজ আছে কিন্তু বাঙালীর কাজ নেই এই সত্য বাঙালীকে জানিয়ে দিতে চায় বাংলা পক্ষ। বাংলার সব চাকরিতে বাঙালী সহ ভূমিপুত্রদের অগ্রাধিকার আছে। কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক সভায় বাংলার কাজে ভূমিপুত্র সংরক্ষণের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু শুধু মুখের কথায় কাজ হবে না, বাংলা পক্ষ ভূমিপুত্র সংরক্ষণ আইন পাশ না হওয়া পর্যন্ত লড়াই থামবে না।”

তিনি আরো বলেন, “বাংলা ভাগের সমস্ত চক্রান্তের বিরুদ্ধে বাঙালীকে একজোট করে এই চক্রান্ত ব্যর্থ করবে বাংলা পক্ষ।” অন্যদিকে বাংলা পক্ষ শিল্পাঞ্চলের সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন,” উত্তর ২৪ পরগণা শিল্পাঞ্চলের কারখানাগুলোতে ভূমিপুত্র কে কাজে নেওয়া হয় না, বাইরের রাজ্য থেকে কর্মী নিয়ে আসা হয়। তাই ভূমিপুত্র সংরক্ষণ আইন চালু না হওয়া পর্যন্ত বাংলা পক্ষ উত্তর ২৪ পরগণা শিল্পাঞ্চল লড়াই চালিয়ে যাবে। আগামীতে আরো বড় কর্মসূচির পরিকল্পনা আছে।”

Google news