Cyclone Remal in Bangladesh: বাংলাদেশে রেমালের ভয়ঙ্কর পরিণতি

bangladesh-affected-by-cycl.jpg

তছনছ নদী বাঁধ, হু হু করে ঢুকছে জল। বাংলাদেশে রেমালের(Cyclone Remal in Bangladesh) ভয়ঙ্কর তাণ্ডব। পশ্চিমবঙ্গের থেকেও ঘূর্ণিঝড়ের বেশি দাপট দেখা গেল বাংলাদেশে। ঝড়বৃষ্টিতে এখনও পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে সোমবার সকালে প্রবল ঘূর্ণিঝড় শক্তি হারিয়ে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। ঘণ্টাখানেকের মধ্য়ে তা আরও শক্তি হারিয়ে, সাধারণ নিম্নচাপে পরিণত হবে।

রবিবারই মধ্যরাতে পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মাঝে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। রাতভর বৃষ্টিতে বরগুনার আমতলীতে বাঁধ ভেঙে যায়। বাংলাদেশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

bangladesh Affected Cyclone Remal

ঘূর্ণিঝড়ের আগেই সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ত্রাণশিবিরে যাওয়ার পথে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় শওকাত মোড়ল (৬৫) নামক এক ব্যক্তির। অন্যদিকে, পটুয়াখালীতে জোয়ারের জলে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয় শরীফুল ইসলাম (২৪) নামের এক ব্যক্তির।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মুহিববুর রহমান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ এ এখনও পর্যন্ত ১০ জন নিহত ও ১৯টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সোমবার (২৭ মে) এক জরুরী ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী জানান, ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলো হচ্ছে- খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, ফেনী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, চাঁদপুর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর এবং যশোর। তিনি এও জানান, ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার সংখ্যা ১০৭টি এবং ইউনিয়নের ও পৌরসভার সংখ্যা ৯১৪টি। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৩৭ লক্ষ ৫৮ হাজার ৯৬ জন। সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে ৩৫ হাজার ৪শত ৮৩টি ঘরবাড়ি এবং আংশিকভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯শত ৯২টি ঘরবাড়ি।

ঘূর্ণিঝড় সতর্কবার্তার প্রেক্ষিতে উপকূলীয় এলাকাসমূহে ৯ হাজার ৪শত ২৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্র ও স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৮ লাখেরও বেশি লোক আশ্রয় নিয়েছে। গরু-মহিষ, ছাগল-ভেড়াসহ আশ্রিত পশুর সংখ্যা ৫২ হাজার ১শত ছেচল্লিশটি।

জানা গিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের(Cyclone Remal in Bangladesh) কেন্দ্র বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করেছে। শক্তি হারিয়ে এটি প্রবল থেকে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হচ্ছে। আর ঘণ্টাখানেকের মধ্যে এটি নিম্নচাপে পরিণত হবে। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাব শেষ হতে আরও পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা লাগতে পারে।

Google news