Euro cup 2024: ইউরো সেরা স্পেন! স্বপের রাত দেখল বিশ্ব
Spain win euro cup 2024, england lost again in final
লন্ডন থেকে ১১০০ কিলোমিটার দূরে জার্মানির বার্লিনে ইংল্যান্ডকে (england) হারিয়েই ইউরো চ্যাম্পিয়ন হল স্পেন(euro cup 2024)। ১২ বছর পরে আবার ইউরোপের সেরা দেশ হল তারা। চার বার ইউরো জিতল স্পেন। আরও এক বার ফাইনালে উঠে হারল ইংল্যান্ড। গত বার ঘরের মাঠে হারতে হয়েছিল ইটালির কাছে। এ বার স্পেন স্বপ্নভঙ্গ করল হ্যারি কেনদের। এখনও প্রথম ইউরোর জন্য অপেক্ষা করতে হবে তাঁদের।
গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে অত্যন্ত ম্যাড়ম্যাড়ে ফুটবল খেলেছেন বেলিংহ্যামরা। সেমিফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ছাড়া কোনও ম্যাচেই মন মাতাতে পারেনি সাউথগেটের ছেলেরা। যদিও জয় আটকে থাকেনি। অতিরিক্ত ডিফেন্স নিয়ে যে সমালোচনার ঝড় বইছে, সেটাই প্রথমার্ধে শক্তি হল ইংল্যান্ডের (England Football Team) জন্য। দুই উইংয়ে নিকো আর ইয়ামালের গতিকে রুখতে তৈরি ছিলেন শক্তিশালী দুই সাইডব্যাক লুক শ আর কাইল ওয়াকার। নিচে নেমে সাহায্য করছিলেন সাকা আর বেলিংহ্যামও। আর মাঝমাঠে ফাবিয়ান রুইজ- দানি ওলমোকে রোখার দায়িত্বে ছিলেন ১৯ বছরের তরুণ কোবি মেইনু। নিজেরা সেভাবে আক্রমণে না উঠতে পারলেও, স্পেনের ছন্দ নষ্ট করে দিল ইংল্যান্ড। মাঝমাঠ থেকে ডিফেন্সের মধ্যে অসংখ্য পায়ের জঙ্গল ভেদ করতে পারলেন না রড্রিরা। বিচ্ছিন্ন কিছু আক্রমণে থেমে গেল নিকোদের দৌড়। তারই মধ্যে প্রথমার্ধের একেবারে শেষদিকে সুযোগ পেয়েছিলেন ইংল্যান্ডের ফিল ফোডেন। কিন্তু তাঁর বাঁ পায়ের দুর্বল শট আটকে দেন স্প্যানিশ গোলকিপার উনাই সিমন।
ম্যাচের সময় এগতেই জমে ওঠে খেলা। ফ্যাবিয়ান রুইজদের দুর্দান্ত মুভ। বক্সের মধ্যে ইয়ামাল দুর্দান্ত জায়গায় বল পান। সেকেন্ড পোস্ট দিয়ে জালে বল ঢোকানোর পরিকল্পনা ছিল ইয়ামালের। তাঁর বাঁ পায়ের শট সরাসরি পিকফোর্ডের শরীরে ধাক্কা খায়। স্পেনের খেলার স্টাইল কিছুতেই যেন বুঝে উঠতে পারছিল না ইংল্যান্ড ডিফেন্স। যতই গোলে পিকফোর্ড থাকুন, অঘটন যেন সময়ের অপেক্ষা। সেটাই হল ৮৬ মিনিটে। কুকুরেয়ার পাসে বক্সের সামনে স্লাইড করে বল জালে ঢোকান সুপার সাব ওরয়াফাল।
স্পেনের জন্য প্রয়োজন ছিল কয়েকটা মিনিট বল ধরে রাখা। নির্ধারিত সময়ের শেষ মুহূর্তে ফডেনকে তুলে টোনিকে নামায় ইংল্যান্ড। স্পেনও ইয়ামালকে তুলে মেরিনোকে নামায়। কর্নার থেকে ফের সমতা ফেরানোর মুহূর্ত। উনাই সিমন বল পাঞ্চ করেন, ফিরতি বলে ফের সুযোগ ইংল্যান্ডের। ড্যানি ওলমো গোল লাইনে দুর্দান্ত ব্লক করেন। সেখানেই যেন স্পেনের ট্রফি নিশ্চিত হয়ে যায়। ৪ মিনিট অ্যাডেড টাইম দেওয়া হয়। স্প্যানিশ শিবিরে স্নায়ুর চাপে ভুগছিলেন পেড্রি। সকলেই বারবার ঘড়ি দেখছেন। তবে পামার একই ম্যাচে আরও একবার ইংল্যান্ডকে রক্ষা করবেন, সেই প্রত্যাশা ব্যর্থ।