Flood Situation: বন্যাবিধ্বস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের ত্রাণ শিবির, তৈরি করা হচ্ছে অভয়া ক্লিনিক

বুধবার থেকেই বন্যা পরিস্থিতি  (Flood Situation) খতিয়ে দেখতে রাজ্যের একাধিক জায়গায় যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী  পাঁশকুড়া ও উদয়নারায়ণপুরে যান বন্যা পরিস্থিতি (Flood Situation) খতিয়ে দেখতে। বন্যা পরিস্থিতির (Flood Situation) জন্য ফের কেন্দ্র ও DVC-কেই দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বন্যা দুর্গতদের(Flood Situation) পাশে দাঁড়াতে জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফেরার আহ্বান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, বন্যা বিধ্বস্তদের (Flood Situation) জন্য ‘অভয়া ক্লিনিক’ গড়ে তোলার ঘোষণা করলেন আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা।

 

আরজি কর কাণ্ডে নিজেদের সুরক্ষা চেয়ে কর্মবিরতি অবস্থানে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা। তার মধ্যেই রাজ্যে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি(Flood Situation) দেখতে পাওয়া যায়। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী উদয়নারায়নপুরে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘আমি চিকিৎসকদেরও বলব, সাপেরা ডাঙায় আশ্রয় নিয়েছে। এই জল নেমে গেলে সাপের কামড়, ডায়রিয়া, জ্বর হবেই। মুখ্যসচিবকে ফোন করে মেডিক্যাল শিবির করতে বলেছি। শিবির যে করব, এখনও কাজে যোগদান হয়নি। আমি আমার সাধ্যমতো করেছি! আশা করি সুমতি ফিরবে। মানুষ বন্য়ায় আক্রান্ত। মানুষের প্রাণ বাঁচানো, খাদ্য তুলে দেওয়াই এখন বড় কাজ। এটা রাজনীতির সময় নয়।’

 

তবে আন্দোলনের জন্য নিজেদের চিকিৎসক সত্ত্বাকে হারাতে একেবারেই প্রস্তুত নন জুনিয়র চিকিৎসকরা।  স্বাস্থ্যভবনের সামনে ধর্নামঞ্চ থেকে রাজ্যের বন্যা বিধ্বস্ত এলাকাগুলোতে ত্রাণ শিবির ও অভয়া ক্লিনিক তৈরির ঘোষণা করলেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। রাজ্যের পরিস্থিতি মোটেই সুবিধার নয়। এই প্রেক্ষিতে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা বলেন, “গোটা পশ্চিমবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দুর্গত এলাকার সংখ্যা বাড়ছে। প্রচুর পরিমণে জল ছাড়া হয়েছে। রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। আমাদের অবস্থানে অনেক মানুষ সাহায্য করেছেন। সাধারণ মানুষ প্রয়োজনের থেকে অনেক বেশি আমাদে দিয়েছেন। আমরা সেগুলো সব সঞ্চয়ে রেখেছি। তার সঙ্গে আমরা আবেদন করব আরও মানুষ যদি আমাদের কাছে সাহায্য পাঠান। সেটা  দিয়ে বন্যা দুর্গত এলাকায় ত্রাণশিবির গড়তে চাই আমরা। বন্যা দুর্গত এলাকায় ‘অভয়া ক্লিনিক’ গড়তে চাই। মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা পালন করব।”

 

অন্যদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়েছে। কংসাবতী নদীর বাঁধ ভেঙে পাঁশকুড়ার পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকাতে পর্যাপ্ত ত্রাণ পাওয়া যাচ্ছে কি না, সেই বিষয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের অভিযোগ শোনেন।

Google news