Hemant Soren: মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা চম্পাই সোরেনের, সরকার গঠনের দাবি করলেন হেমন্ত

ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন চম্পাই সোরেন। রাজ্যপাল সি. পি. রাধাকৃষ্ণণের কাছে তিনি তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দেন। হেমন্ত সোরেনও (Hemant Soren) সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছেন। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) নেতা হেমন্ত সোরেন তৃতীয়বারের জন্য ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ফিরে আসতে প্রস্তুত। মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেনের বাসভবনে জোট নেতারা ও বিধায়করা বৈঠক করেন। সর্বসম্মতভাবে জেএমএম বিধায়ক দলের নেতা হিসাবে হেমন্তকে নির্বাচিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, চম্পাই সোরেনের জায়গায় হেমন্ত সোরেনকে (Hemant Soren) মুখ্যমন্ত্রী করা হবে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস ভারপ্রাপ্ত গুলাম আহমেদ মীর, রাজ্য সভাপতি রাজেশ ঠাকুর, হেমন্ত সোরেনের ভাই বসন্ত এবং স্ত্রী কল্পনা। হেমন্ত সোরেন মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলে তিনি হবেন ঝাড়খণ্ডের ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী।

রাজভবন থেকে বেরিয়ে আসার পর চম্পাই সোরেন বলেন, ‘জোট শরিকরা আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিল। এখন জোট সিদ্ধান্ত নিয়েছে হেমন্তজির পক্ষে। জোটের সিদ্ধান্ত থেকে আমি পদত্যাগ করেছি। আমাদের জোট শক্তিশালী। হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে কী হয়েছে, তা সবাই জানে।

তথাকথিত জমি কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত অর্থ পাচারের মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর, গ্রেপ্তারের প্রায় পাঁচ মাস পর, ২৮শে জুন হেমন্ত সোরেন জেল থেকে মুক্তি পান। গ্রেপ্তারের আগে ৩১ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন হেমন্ত (Hemant Soren)। ইডি হেমন্ত সোরেনকে গ্রেপ্তার করার পর তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী চম্পাই সোরেনকে রাজ্যের শাসনভার ন্যস্ত করা হয়। চম্পাই ২ ফেব্রুয়ারি ঝাড়খণ্ডের ১২তম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন।

এদিকে, চম্পাই সোরেনের পদত্যাগের পর অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা হেমন্ত সোরেনকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেছেন, “ঝাড়খণ্ডে জেএমএম এবং কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে একজন প্রবীণ উপজাতি নেতাকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি নিশ্চিত ঝাড়খণ্ডের মানুষ এর নিন্দা করবেন।”

হিমন্ত বিশ্ব শর্মার এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। “সর্বানন্দ সোনোয়ালজির কথা মনে আছে? নির্বাচনে জেতার পরেও আপনি এবং আপনার দল কীভাবে তাঁকে অপমান করেছেন এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন? এটা কি তাদের আদিবাসী হওয়ার কারণে? আর আপনি? কেন আপনি একজন উপজাতি নেতার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করলেন?”

“আর বাকি রইল চম্পাই সোরেনজি কথা, ওনাকে জন্য চিন্তা করবেন না। ওনাকে এমনি এমনি টাইগার বলা হয় না। উপজাতি নেতা হেমন্তজি যখন একটি মিথ্যা মামলায় স্বৈরশাসকদের দ্বারা কারারুদ্ধ হয়েছিলেন, তখন তিনি তাঁর দায়িত্ব ভালভাবে পালন করেছিলেন। আজ যখন হেমন্তজি হাইকোর্ট থেকে ন্যায়বিচার পেয়েছেন, তখন তিনি সমস্ত ইন্ডিয়া জোটের বিধায়কদের সর্বসম্মত সম্মতি নিয়ে ঝাড়খণ্ডের জনগণের রায় মেনে চলার দায়িত্ব পালন করতে ফিরে এসেছেন।”

Google news