Illegal Construction: অধিকারী গড়ে বেআইনি নির্মাণ, ভাঙার নির্দেশ বিচারপতি সিনহার

ফের একবার রাজ্যে বেআইনি নির্মাণের (Illegal Construction) নজির। যদিও এবার অধিকারী গড়ে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ তুলে এক ব্যক্তি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই মর্মে বিচারপতির অমৃতা সিনহার ডিভিশন বেঞ্চ সেই বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিল। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রসুলপুরে বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ, আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলতে হবে।

অভিযোগ উঠেছিল জমি দখল করে বেআইনি নির্মাণ (Illegal Construction)। মামলাকারী অমিতাভ পারিয়ারীর অভিযোগ, তাঁর প্রায় ৯ কাঠা জমির অধিকাংশই দখল করে সেখানে বেআইনি নির্মাণ বানিয়ে ব্যবসা করে চলেছিল। স্থানীয় কাউন্সিলর, পুরসভা এবং পুলিশ প্রশাসনে জানিয়েও খুব একটা লাভ হয়নি। তাঁর অভিযোগ কেউ কর্ণপাতও করেনি। শুধু তাই নয়, তাঁর অভিযোগ তার সাথে জলাভূমি ভরাট করে নির্মাণ চলছে। তিনি জানান, স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে কোনও সহযোগিতা না পাওয়ায় অবশেষে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।

এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে মামলার শুনানিতে মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী জানান কোনরূপ নকশা ও অনুমতি ছাড়াই দিনের পর দিন বলপূর্বক জমি দখল করে বেআইনি নির্মাণ চালালেও প্রশাসন সম্পূর্ণ উদাসীন। মামলায় কাঁথি পুরসভার তরফে রিপোর্টে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ স্বীকার করে নিলেও বাস্তবে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

পুরসভার আইনজীবী জানায় পূর্ত দপ্তরের রাস্তা দখল করে বেআইনি নির্মাণ হলে তার ভাঙ্গার দায়িত্ব পূর্ত দপ্তরের। ভরা এজ্লাসের মধ্যেই কাঁথি পুরসভা এবং পূর্ত দফতরের আইনজীবীদের মধ্যে তীব্র বচসা বেঁধে যায়। বিচারপতি অমৃতা সিনহা দুপক্ষের আইনজীবীদের বচসা থামাতে ধমক দিতে দেখা যায়।
একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় বিচারপতি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন নির্মাণকার্য যে বেআইনি তা পরিষ্কার। তবে এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক দলের মদত আছে কিনা তা স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি। তবে আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে সেই নির্মাণ ভেঙে ফেলতে বলেছে হাইকোর্ট।

Google news