ধর্মতলায় জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior doctors protest) সঙ্গে কলকাতা পুলিশের ধ্বস্তাধ্বস্তি। এক জুনিয়র চিকিৎসককে (Junior doctors protest) শারীরিক নির্যাতন, লাথি মারার অভিযোগ। নিঃশর্ত ক্ষমা (Junior doctors protest) চাইতে হবে পুলিশকে। এই দবি নিয়ে ধর্মতলায় অবস্থানে বসলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। যার জেরে ধর্মতলার (Junior doctors protest) একাংশে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। প্রবল বৃষ্টিতে ধর্মতলায় অবস্থান করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
প্রসঙ্গত, এসএসকেএম থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior doctors protest) মিছিল আসে ধর্মতলায়। ওয়াই চ্যানেলে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior doctors protest)। তাদের পরবর্তী কর্মসূচিও তখন ঘোষণা করার কথা ছিল। কিন্তু ধর্মতলায় আসার পরেই পুলিশের সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের বচসা শুরু হয়ে যায়। জুনিয়র চিকিৎসকরা অভিযোগ করেছেন, তাঁদের সঙ্গে অসভ্য ব্যবহার করেছে পুলিশ। এরপরই ঘটনার প্রতিবাদে ধর্মতলার মোড়ে বসে পড়েন জুনিয়র ডাক্তাররা। মেট্রো চ্যানেলের সামনের রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে। অন্যদিকে, পুলিশের তরফে জানানো ছিল, মেট্রো চ্যানেল অবধি মিছিলের অনুমতি ছিল পুলিশের। ওয়াই চ্যানেলে যেতে দেওয়ার কথা বলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এই কারণেই বচসা শুরু হয় বলে জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য ওয়াই চ্যানেলে জুনিয়র চিকিৎসদের সাংবাদিক বৈঠক করার কথা ছিল। সেই কারণে জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে একটি গাড়ি নিয়ে আসা হয়েছিল। সেখানে আসবাব ছিল। সেই গাড়িটিও পুলিশ আটকায় বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, সেই সময় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এক জুনিয়র চিকিৎসকের সঙ্গে অভব্য আচরণ করা হয়। ওই জুনিয়র চিকিৎসকে লাথি মারে বলে জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে অভিযোগ করা হয়। এই ঘটনায় জুনিয়র চিকিৎসকরা মেট্রো চ্যানেলের সামনে বসে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে সিনিয়র চিকিৎসকদের একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের পর জুনিয়র চিকিৎসকদের একটি জিবি হয়। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, জুনিয়র চিকিৎসকরা তাঁদের কর্মবিরতি তুলে নেবেন। ১০ দফা দাবি পূরণের একটি সময়সীমা সরকারকে দেবেন। প্রয়োজনে তাঁরা অনশন করবেন বলেও সিদ্ধান্ত নেয়। সম্ভবত ওয়াই চ্যানেলে সাংবাদিক সম্মেলনে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার কথা ছিল জুনিয়র চিকিৎসকদের।
