আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার অপরাধীকে ধরতে হবে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা দিতে হবে। এরকমই পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors Protest)। মঙ্গলবার বেলা ১২টা নাগাদ করুণাময়ী থেকে আন্দোলন শুরু হয়। স্বাস্থ্যভবনের সামনে এসে জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors Protest) অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। সেখানেই তাঁরা স্লোগান দিতে থাকেন। তাঁরা জানান, যতক্ষণ না তাঁদের দাবি পূরণ হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁরা স্বাস্থ্যভবনের সামনে স্লোগান দিতে থাকবেন। মঙ্গলবার রাতের দিকে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে (Junior Doctors Protest) যোগ দেন নির্যাতিতার বাবা-মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
মাঝরাতে আন্দোলনে যোগ দিয়ে নির্যাতিতার কাকীমা বলেন, “চিকিৎসকদের নিরাপত্তা দিতে পারছেন না, তাঁরা কী করে বলেন কাজে ফিরতে।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উৎসবে ফেরার মন্তব্যেরও সমালোচনা করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর উৎসবে ফেরার মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন নির্যাতিতার মা। তিনি বলেন, “আমার বাড়িতে দুর্গাপুজোর প্রদীপ আর কোনো দিন জ্বলবে না। মানুষ যদি মনে করে উৎসবে ফিরবে, তাহলে ফিরবেন। যা গিয়েছে আমার গিয়েছে। কিন্তু গোটা দেশ আমার মেয়েকে পরিবার মনে করছে। তারা যদি মনে করে উৎসবে ফিরবেন তাহলে ফিরবেন।” মুখ্যমন্ত্রী ও শাসক দলের তীব্র সমালোচনা করে নির্যাতিতার মা আগেই বলেছিলেন, “আমর মেয়েকে যেভাবে গলা টিপে মেরেছে। সেভাবেই আন্দোলনকে গলা টিপে মারতে চাইছেন উনি।” তবে স্বাস্থ্যভবনের সামনে আন্দোলনে যোগ দিয়ে নির্যাতিতার বাবা-মা কোনও মন্তব্য করেননি।
জুনিয়র চিকিৎসকরা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, স্বাস্থ্যভবনের কাছে অনির্দষ্টকালের জন্য আন্দোলন চলবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না তাঁদের সমস্ত দাবি মানা হবে ততক্ষণ আন্দোলন চলবে। সেই অনুযায়ী, আগাম কিছু প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তাঁরা। তবে সাধারণ মানুষ ব্যাপকভাবে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁরা নিজেদের মতো করে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সাহায্য করছেন।