বিজ্ঞানের জগতে, বিশেষ করে মহাকাশে নিজের শক্তি প্রমাণ করা চিন আরও একটি বড় পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, চিনা বিজ্ঞানীরা চাঁদ থেকে হিলিয়াম বের করে (Magnetic Space Launcher) পৃথিবীতে আনার জন্য একটি চৌম্বকীয় স্পেস লঞ্চার তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এই প্রকল্পে খরচ হবে ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এই স্পেস লঞ্চারটি (Magnetic Space Launcher) এমনভাবে ডিজাইন করা হবে যাতে এটি চাঁদের পৃষ্ঠে গিয়ে হিলিয়াম-৩ এবং অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ পৃথিবীতে পাঠাতে পারে। এই লঞ্চারের ওজন হবে ৮০ মেট্রিক। এটি চাঁদের পৃষ্ঠে উপস্থিত হিলিয়াম-৩ আইসোটোপ বের করতে ব্যবহৃত হবে।
তবে, সঠিক উৎক্ষেপণের তারিখ এবং সময় এখনও প্রকাশ করা হয়নি। এই পরিকল্পনাটি রাশিয়া ও চিনের যৌথ মহাকাশ কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই কর্মসূচিতে উভয় দেশই ২০৩৫ সালের মধ্যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে একটি গবেষণা কেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে।
এই লঞ্চারের কথা বললে, এটি এমনভাবে তৈরি করা হবে যাতে এটি কমপক্ষে ২০ বছর ধরে চাঁদের পৃষ্ঠে থাকতে পারে। বলা হচ্ছে যে লঞ্চারটি (Magnetic Space Launcher) কাজ করার জন্য কেবল বিদ্যুৎ ব্যবহার করবে এবং এই বিদ্যুৎ পারমাণবিক ও সৌর উত্স থেকে প্রাপ্ত হবে। উৎক্ষেপণকারীটি চাঁদের উচ্চ শূন্যস্থান এবং নিম্ন মাধ্যাকর্ষণ ব্যবহার করে পৃথিবীর দিকে মহাকাশ উপাদান নিক্ষেপ করবে।
চৌম্বকীয় লঞ্চার হাতুড়ি নিক্ষেপের মতো কাজ করবে, ঠিক যেমন একজন ক্রীড়াবিদ হাতুড়ি নিক্ষেপ করার আগে দ্রুত ঘূর্ণন করে, চৌম্বকীয় লঞ্চারও (Magnetic Space Launcher) একইভাবে কাজ করবে। উৎক্ষেপণকারীর দৃষ্টিকোণ থেকে, এর ঘূর্ণায়মান বাহু উচ্চ গতিতে ঘোরাতে থাকবে যতক্ষণ না এটি চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য প্রয়োজনীয় গতিতে পৌঁছায়। চিন বিশ্বাস করে যে এটি করার মাধ্যমে এটি পৃথিবীতে উদ্ভূত জ্বালানি সংকট সমাধানে সহায়তা করতে পারে।