Anubrata Mondal : অনুব্রতর পাশে মমতা দাঁড়াতেই ‘ডাকাতদের রানি’ বলে কটাক্ষ মহম্মদ সেলিমের ! শোরগোল রাজনৈতিক মহলে

খবরএইসময় ডেস্ক: গোরু পাচার মামলায় সিবিআই (CBI) হেফাজতে বীরভূম জেলা তৃ়ণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত (কেষ্ট) মণ্ডল। হাজার হাজার কোটি টাকা লেনদেনের তদন্তে নেমেছে সিবিআই। এদিকে অনুব্রতকে গ্রেফতারের পর নীরব থাকা তৃণমূল দলনেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন ফুঁসে উঠলেন। তিনি সরাসরি কেষ্টর পাশে দাঁড়িয়েছেন। বলেছেন ঘরে ঘরে লক্ষ কেষ্ট তৈরি হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই অবস্থানকে তীব্র কটাক্ষ করলেন CPIM রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি সরাসরি মমতাকে কটাক্ষ করে বলেন ‘ডাকাতদের রানি’।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি অনুব্রত মণ্ডলের পক্ষ নেওয়ায় রাজনৈতিক মহল প্রবল আলোড়িত। বেহালায় দেওয়া ভাষণে তিনি বারবার পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারকে নিশানা করেছেন। রবিবারই উত্তরপাড়ায় দলীয় কর্মসূচি থেকে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘সবাই জানে দূনীতির যে কারখানা ভাইপো আর পিসি মিলে বানিয়েছেন তার নাটবল্টু হল অনুব্রত।মমতা চাইবেন তার নাটবল্টু ঢিলে হয়ে যাক?’
সেলিম বলেন, ‘মমতা ব্যানার্জি বলেছিলেন আমাকে দেখে এদেরকে ভোট দাও।তাহলে একটা জিনিস পরিষ্কার মমতা ব্যানার্জি হচ্ছে এই ডাকাতদের রানি।’

মহম্মদ সেলিম বলেন,মমতা অনুব্রতর পাশেই ছিলেন। অনুব্রত ওর ঘরের লোক। অনুব্রত টাকা চুরি করে যদি কালিঘাটে না পাঠায় তাহলে তার ভাইপো আর ভাইপো বৌ এর আর মমতার বংশের এত ঠাটবাট হয়?এত রাজ প্রাসাদ তৈরী হয়?

সেলিম আরও বলেন, রাজ্যের গোটা অর্থনীতিকে চৌপাট করেছে তৃনমূল কংগ্রেস। এটা একটা দূর্নীতির চক্র কোনো রাজনৈতিক দল নয়। রাজ্যের শিক্ষা থেকে রেশন ব্যবস্থা চৌপাট করেছে।প্রতিটা নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে আর তার ফলে তৃণমূলের নিচু থেকে উপর পর্যন্ত সবাই ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। এই যে ফুলে-ফেঁপে উঠেছে এগুলো হচ্ছে দুর্নীতির টাকা অবৈধ কারবারের এবং চোরাচালানের। সুতরাং মমতা ব্যানার্জির অনুব্রত ছাড়া চলবে না তৃণমূলের এইরকম চোরচোট্টা ছাড়া চলবে না।

Google news