Narendra Modi’s Rally: সীমান্তে কংগ্রেসের ‘বি’ দল সক্রিয়, মহারাষ্ট্রে জনসভায় কংগ্রেসকে আক্রমণ মোদির সফরে মোদি

modi aghari

মহারাষ্ট্রের আহমেদনগরের একটি নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদী (Narendra Modi’s Rally) বলেন, ‘ইন্ডি ও মহা বিকাশ আঘাড়ি’ জোটের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ নিশ্চিত করা হয়েছে। ৪ঠা জুনের পর ইন্ডি ওয়ালাদের ঝান্ডা বহন করার কেউ থাকবে না। নির্বাচনের আগে 4ঠা জুন ভানুমতির এই কুনবা বালির দুর্গের মতো ভেঙে পড়তে চলেছে। এই নির্বাচন ‘সন্তুষ্টিকরণ’ বনাম ‘তুষ্টিকরণ -এর। বিজেপি-এনডিএ-র সম্পূর্ণ প্রচেষ্টা হল নিজের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশবাসীকে সন্তুষ্ট করা।

জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘ইন্ডি-মহা আঘাড়ি’র কৌশল জনসাধারণের সামনে কাজ করছে না। এই হতাশা সীমান্তেও দৃশ্যমান। কংগ্রেসকে আক্রমণ করে মোদি বলেন, “এখানে ‘এ’ দল হেরে যাচ্ছে, তাই কংগ্রেসের ‘বি’ দল সীমান্ত পেরিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সীমান্তের ওপার থেকে কংগ্রেসের সমর্থনে টুইট করা হচ্ছে, বিনিময়ে কংগ্রেস সন্ত্রাসবাদী হামলার জন্য পাকিস্তানকে ক্লিন চিট দিচ্ছে। ২৬/১১ মুম্বই হামলা পরিকল্পিত ছিল। পাকিস্তান করিয়েছিল কিনা? কে আমাদের সৈন্যদের হত্যা করেছে? কে আমাদের নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করেছে? আপনারা এবং দুনিয়া সত্য জানে। আমাদের আদালতও রায় দিয়েছে এবং পাকিস্তানও তা মেনে নিয়েছে, কিন্তু কংগ্রেস সন্ত্রাসবাদীদের নির্দোষ হওয়ার শংসাপত্র দিচ্ছে। এখন ২৬/১১ সন্ত্রাসী কাসাবের পক্ষ নেওয়া তাদের জন্য অপমান, যারা হামলায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী মোদি জনসভায় কংগ্রেসের ওপর আক্রমণ জারি রেখে বলেন, “২৬/১১ মুম্বই হামলা নিয়ে মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতার বক্তব্য আরও বিপজ্জনক। এই কংগ্রেস সদস্যরা সবাই মিলে এখন সন্ত্রাসবাদী কসাবের পক্ষ নিচ্ছেন। কংগ্রেসের সময়ে বিদেশ প্রতিমন্ত্রী এবং পরিবারের ঘনিষ্ঠরা বলেছেন যে কসাব নির্দোষ, মুম্বাই হামলায় নিহত সমস্ত নিরপরাধ নাগরিকের অপমান, মুম্বাই হামলায় সমস্ত সন্ত্রাসবাদীকে হত্যাকারী নিরাপত্তা বাহিনীর অপমান। কংগ্রেস দেশকে কোথায় নিয়ে যেতে চায়?”

বস্তুত, মহারাষ্ট্রের বিরোধী দলনেতা বিজয় ওয়াদেত্তিওয়ার বয়ান দিয়েছিলেন যে, মুম্বই হামলার সময় এটিএস প্রধান হেমন্ত করকারেকে গুলি করেনি আজমল কাসাব। তিনি দাবি করেন যে, করকারে কাসাব বা অন্যান্য সন্ত্রাসবাদীদের ছোঁড়া গুলিতে নিহত হননি, বরং আরএসএস সমর্থিত এক পুলিশ আধিকারিকের গুলিতে নিহত হয়েছেন। এই বক্তব্য নিয়ে তুমুল শোরগোল পড়ে যায়। রাহুল গান্ধী ও সোনিয়া গান্ধীর ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছে বিজেপি।

Google news