Prevention of Lynching Bill: গণপিটুনি বিল কেন এখনও রাজভবনে, ব্যাখ্যা দিলেন বোস

why lynching-bill-stuck-in rajbawan, explain governor

গত কয়েক মাসে রাজ্যের একাধিক প্রান্তে গণপিটুনির অভিযোগ উঠেছে। গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছে একাধিকবার। প্রশ্ন উঠছে, গণপিটুনিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ? কেবলই কি গ্রেফতার? এর সাজা কী?  এই প্রেক্ষিতে গণপিটুনি নিয়ে পাঁচ বছরের পুরনো একটি বিল (Prevention of Lynching Bill) আবার নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে।  রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, গণপিটুনিতে মৃত্যুদণ্ডের সাজার বিলে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এখনও সই করেননি। পাঁচ বছর ধরে পড়ে রয়েছে সেই বিল। তাই এখনও পর্যন্ত সেই বিল আইনে পরিণত করা সম্ভব হয়নি। এই প্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে প্রশ্নোত্তর আকারে এর জবাব দেন।

রাজ্যপাল জানিয়েছেন, ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল (প্রিভেনশন অব লিঞ্চিং) বিল, ২০১৯’ রাজ্য বিধানসভায় পাশ হয়েছিল ওই বছরের ৩০ অগস্ট। ৪ সেপ্টেম্বর অনুমোদনের জন্য রাজ্য সরকার সেটি রাজভবনে পাঠিয়েছিল। রাজ্যপাল লিখেছেন, ‘‘বিলটির(Prevention of Lynching Bill) বিষয়ে রাজ্য সরকারের কাছে কিছু ব্যাখ্যা চেয়ে পাঠিয়েছিলাম আমি। সেই ব্যাখ্যা এখনও মেলেনি। ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর থেকে সেই ব্যাখ্যা বকেয়া পড়ে রয়েছে।’’

তৎকালীন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী পক্ষ কংগ্রেস এবং বামেরা বিলের কিছু বিষয় সংশোধনের দাবি তুলেছিলেন বলেও জানান রাজ্যপাল। তাঁর কথায়, ‘‘বিলের খসড়ায় সর্বোচ্চ সাজা হিসাবে মৃত্যুদণ্ডের কথা ছিল না। কিন্তু বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলে তা ছিল! এটা তো নিছক মুদ্রণ প্রমাদ হতে পারে না।’’ ২০২২ সালে রাজ্য বিধানসভায় বিতর্ক পর্বে রাজভবনে পড়ে থাকা ২২টি বিলের তালিকাতেও গণপিটুনি সংক্রান্ত বিলটি ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।

গত কয়েক মাসে রাজ্যের একাধিক প্রান্ত থেকে গণপিটুনির অভিযোগ উঠে আসছে। কখনও ছেলেধরা সন্দেহে, কখনও চোর, কখনও আবার সামান্য বচসাতেও পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠছে। এমনকি সম্প্রতি নিজের সন্তানকেই কোলে নিয়ে ট্রেনে যাওয়ার পথেও ‘চোর’ সন্দেহে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। কখনও আক্রান্ত হচ্ছেন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি, কখনও পাড়ার ছেলেই। গত সপ্তাহেই তিন দিনের মধ্যে পাঁচ জনকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে।

Google news