Shatabdi Roy: অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে শতাব্দীর, কিন্তু কেন 

গরু পাচার মামলায় আপাতত জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর অনুপস্থিতিতে এই প্রথম লোকসভা নির্বাচন। ‘কেষ্ট’ অনুপস্থিতি ভোটবাক্সে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ব্যবধান বাড়িয়ে চতুর্থবার ভোটে জয়ী শতাব্দী রায়(Satabdi Roy)। উচ্ছ্বসিত শাসক শিবিরের জয়ী প্রার্থী। ফলপ্রকাশের পরদিন অর্থাৎ বুধবার সকালে তারাপীঠে পুজো দিলেন। তিহাড়ে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছাপ্রকাশও করেন তিনি।

প্রায় দেড় মাস ধরে চলেছে ভোটপর্ব। গত ১০ মার্চ, প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে তৃণমূল। বীরভূমের দায়িত্ব যে এবারও তৃণমূল তাঁর কাঁধেই তুলে দিয়েছে, তা জানার পরই বীরভূমে গিয়ে মাটি আঁকড়ে পড়েছিলেন শতাব্দী (Shatabdi Roy)। অসহ্য গরমের তোয়াক্কা না করে জোরকদমে প্রচার চালিয়ে গিয়েছেন। একের পর এক গ্রাম ঘুরে সেরেছেন জনসংযোগ। পরিশ্রমের ফলও পেয়েছেন শতাব্দী। লক্ষাধিক ভোট ব্যবধান বাড়িয়ে ফের বীরভূমে জয়ী তৃণমূলের তারকা প্রার্থী। ভোট ব্যস্ততা আর নেই। তাই বুধবার সকালে তারাপীঠে পৌঁছন। পুজো দেন। বলেন, “আমি বিশ্বাস করি তারা মায়ের আশীর্বাদ আছে বলেই এতগুলো বছর বীরভূমে কাটাতে পারলাম। প্রত্যেক কর্মী খুব পরিশ্রম করেছেন। ভালোবাসা, আবেগের সঙ্গে ভোট করেছেন কর্মীরা। সে কারণে এই ফল। আবারও নতুন করে কৃতজ্ঞতা জানাই বীরভূমবাসীকে।”

প্রচারে গিয়ে একাধিকবার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন শতাব্দী। কিছু কিছু গ্রামে যে সমস্যা রয়েছে, তা স্বীকার করে নেন। বলেন,”কিছু কিছু গ্রামে এখনও ছোট ছোট কাজ বাকি আছে। কিছু জটিলতার জন্য কাজ হয়তো বাকি। জলের সমস্যাও মেটানোর চেষ্টা করেছি। কিছু গ্রামের জলস্তর অত্যন্ত নিচে। কীভাবে জলের সমস্যা মেটানো যায়, সে চেষ্টা করব।” সবশেষে অবশ্য চমক দেন শতাব্দী। দিল্লির তিহাড় জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন।

Google news