Supreme Court: চুক্তিভিত্তিক নিরাপত্তা কর্মীদের ওপর কীভাবে চিকিৎসকরা ভরসা করবেন? প্রশ্ন খোদ সুপ্রিম কোর্টের

রাজ্য সরকারের কাছে বার বার (Supreme Court) জুনিয়র ও সিনিয়র চিকিৎসকরা প্রথম থেকেই হাসপাতালে নিরাপত্তার কথা বলছেন। জুনিয়র চিকিৎসকরা বার বার নিরাপত্তার দাবি তুলেছেন। সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকার চুক্তি ভিত্তিক নিরাপত্তা কর্মীদের ওপর বেশি ভরসা করছেন। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান। সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি বলেন, চুক্তিভিত্তিক নিরাপত্তা কর্মীদের ওপর কীভাবে চিকিৎসকরা ভরসা করতে পারেন?

সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) কনট্রাকচুয়াল কর্মীদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন চিকিৎসকদের আইনজীবীরা। তাঁরা বলেন, আরজি কর কাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার। এরপরেই সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, একজন চুক্তি ভিত্তিক নিরাপত্তা কর্মীর ওপর কীভাবে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ভরসা করতে পারে। ঠিক যে সময়ে এথ নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে চুক্তি ভিত্তিক একজন কর্মী নিযুক্ত রয়েছেন।

এই প্রসঙ্গে কী বলেছেন প্রধান বিচারপতি?  প্রধান বিচারপতি বলেন, “এই ধর্ষণ-কাণ্ডের নেপথ্যে একজন সিভিক ভলান্টিয়ার রয়েছেন। আবার যদি বাইরে থেকে নিরাপত্তারক্ষী আনা হয়, তারা সারা হাসপাতালে ঘুরে বেড়াবে। মহিলা চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা কি নিরাপদ বোধ করবেন?” এই নিরাপত্তা রক্ষীদের ব্যাকগ্রাউন্ড ভেরিফিকেশন করা হয়েছে কি না, এই প্রশ্নও তুলেছেন প্রধান বিচারপতি। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের প্রধানবিচারপতি বলেন, রাজ্যের প্রতিটি হাসপাতালে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলোতে ১৮ থেকে ২৩ বছরের ছাত্রীরা পড়াশোনা করেন। তাঁরা যাতে নিরাপদ বোধ করেন, সেই দিকে নজর দিতে হবে। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট সিবিআইকে জানিয়েছে, নির্যাতিতার বাবা যে চিঠি দিয়েছেন সেই চিঠি গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। এই চিঠিতে গুরুত্বপূর্ণ লিড রয়েছে।

শুনানির মধ্যেই ভর্ৎসিত হল রাজ্য সরকার। আরজি করে তরুণী চিকিৎসক খুনের প্রসঙ্গে রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, মহিলাদের নাইট ডিউটি কমিয়ে দেওয়া হবে। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি বলেন, “মহিলারা রাতে কাজ করতে পারবেন না, কোন যুক্তিতে বলা হল? কেন মহিলা ডাক্তারদের সীমা বেঁধে হচ্ছে? ওঁরা এই ছাড় চান না। মহিলারা রাতের ডিউটি করতে প্রস্তুত। আপনাদের বিষয়টি দেখা উচিত। আপনাদের কাজ নিরাপত্তা দেওয়া। বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করা উচিত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের। আপনাদের কাজ নিরাপত্তা দেওয়া। মহিলা ডাক্তাররা রাতে কাজ করতে পারবেন না?”

 

Google news