একেতে লকডাউন তার উপর আম্ফান, এখন আশঙ্কা দুর্গাপুজো কি আদৌ হবে, চিন্তিত মৃৎশিল্পীরা!

 

নিজস্ব প্রতিনিধি, নদিয়াঃ লকডাউনের জেরে বন্ধ শহরের বিভিন্ন মিষ্টির দোকান,বন্ধ দশকর্মার দোকান, বন্ধ মন্দির সহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান। একই সঙ্গে ভয়াবহ সাইক্লোন আমফান। এই দুইয়ের জেরে বন্ধ সব কাজকর্ম। ফলে গভীর আর্থিক সংকটে পড়েছেন নদিয়ার রানাঘাটের মৃৎশিল্পীরা। তবে এরা অনেকেই প্রতিমা তৈরি করেন না, এদের প্রধান কাজ মাটির সরা, হাড়ি,খুঁড়ি,ভার সহ পূজার বিভিন্ন উপকরণ তৈরি করা। কিন্তু লকডাউনের গেরোয় পড়ে বন্ধ সব কাজকর্ম।

তবে নিজেরা কিছু জিনিষ তৈরি করলেও বন্ধ দোকানপাট, মন্দির সহ বন্ধ সব সামাজিক অনুষ্ঠান। ফলে কোন কিছুই বিক্রি না হওয়ায় পরিবার নিয়ে অথৈ জলে পড়েছেন ওই সব মৃৎশিল্পীরা। আমফানের ঝড় আর বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে কাঁচামাল, এরমধ্যে এখন শুরু হয়ে গেছে বর্ষা। তাই কাজকর্ম সবই বন্ধ।এই পরিস্থিতিতে চরম দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন ।হাতে গোনা যে কটা দোকান চলছে। তাতেও খদ্দের নেই। ।কিন্ত লকডাউনের কারণে দশকর্মার দোকান প্রায় সবই বন্ধ আর মিষ্টির দোকান কটা টিম টিম করে। সব সামাজিক অনুষ্ঠানই বন্ধ। যার ফলে নেই কোন অর্ডার। তবে ওই সব মৃৎশিল্পীদের পরিবারের মুখে দুবেলা দুমুঠো খাবার জোগানোর একমাত্র ভরসা রেশনের চাল। সুনীলকুমার পাল জানান মাটি দিয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আমরা বানাই হাড়ি, মাটির গ্লাস, থালা সহ পুজোর উপকরণ। কিন্তু লকডাউনে মিষ্টির দোকান সবই বন্ধ। তাই কোন কিছুই বিক্রি নেই। তিনি বলেন সামাজিক অনুষ্ঠান মন্দির সবই বন্ধ। বৃদ্ধ মৃৎশিল্পী সুশীল পাল বলেন দশকর্ম ভান্ডারও বন্ধ। তিনি বলেন এই করোনার প্রভাবে বিভিন্ন পুজো বন্ধ।

কিন্ত বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো হয়তো বন্ধ থাকবে সে কারণেই আমাদের ঘুম নেই বললেই চলে। কেননা,এই পুজোর সময়ে মাটির থালা, গ্লাস,খুড়ি পুজোর ঘট,ইত্যাদি উপকরণ বিক্রি হয়। সেই রোজগারে আমাদের পরিবারের সারাবছরই সংসার খরচের একটা বড় অংশ উঠে আসে। এবার সবই অনুষ্ঠান প্রায়ই বন্ধ। যদি পুজোও বন্ধ হয়ে যায় তাহলে গভীর সংকটের মধ্যে পরতে হবে। মৃৎশিল্পীরা জানালেন আগামী দিন সরকারী সাহায্য না মেলে তবে তাঁদের দুর্দশার সীমা থাকবে না। পরিবার নিয়ে রাস্তায় বসতে হবে বলে জানান তারা।

Google news