Baranagar: মাঝরাতে পুরোহিতের চোখে দেবী দর্শন! খবর চাউর হতে ভক্ত সমাগম মন্দিরে

 

 

 

পল্লব হাজরা, বরাহনগর: কথায় আছে বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর। মঙ্গলবার মধ্যরাতে হঠাৎই অদ্ভুত শব্দে ঘুম ভাঙে বরাহনগর বনহুগলী বনরিনি মা মঙ্গলময়ী কালী মন্দিরের পূজারী সন্দীপ ভট্টাচার্য্যর। ঘরে বসে ঘরের বাইরে পরিস্থিতি মোবাইলে সিসিটিভি ক্যামেরা ক্ষতিয়ে দেখতে তিনি দেখেন এক মহিলা বসে আছেন মন্দির চত্বরে যার মুখ অস্পষ্ট। যদিও কিছু সময় পর মহিলা মন্দির থেকে চলে যান। কিছু সময় পর সন্দীপ বাবু ঘুঙুরের অস্বাভাবিক শব্দ শুনে জানলা দিয়ে উঁকি দিলে দেখেন মন্দির চত্বরে মহিলা নৃত্য করছেন। মুহূর্তে মন্দিরের পুরোহিত সিসিটিভি ক্যামেরা ফের দেখলে সেখানে মহিলার দেখা না মেলায় বেশ কৌতুহল জাগে মনে। ঘর থেকে বেরিয়ে মন্দিরের সামনে আসতেও সেই একই দৃশ্য। মহিলার অস্বাভাবিক নৃত্যের তালে গান গাইছেন তবে তখন মোবাইলে সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ছে না সেই দৃশ্য এমনটাই দাবি সন্দীপ বাবুর। মোবাইল থেকে চোখ ফেরাতেই মহিলা অদৃশ্য হয়ে যান মন্দির থেকে। তবে মাঝরাতে কিভাবে মহিলা মন্দিরে প্রবেশ করলেন অথবা চলে গেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন ঘুরতে থাকে মন্দিরের পুরোহিতের মনে।

পরের দিন সকলে ঘটনার কথা জানাজানি হতেই ভক্তরা একে একে পুজো দিতে আসেন বনরিনি আবাসনের মন্দিরে। ভক্তরা মনে করছেন সাক্ষাৎ দেবী এসেছিলেন সেই রাতে।

 

বনরিনি আবাসনের বাসিন্দা রিতা কর জানান, ঘটনার ছবি তিনি পরবর্তী সময় দেখেছেন। মহিলার মুখ ছিল অস্পষ্ট এবং তাঁর হাঁটাচলা ছিল অস্বাভাবিক। ১৯৭১ সালের তৈরি হওয়া মন্দিরে দেবী দর্শন পাওয়া অস্বাভাবিক কিছুই নয়।

 

ওপর দিকে ঘটনার খবর কানে আসতে বরাহনগর বিজ্ঞান মঞ্চের অন্যতম সদস্য স্বপন মজুমদার জানান সিসিটিভি ক্যামেরার যা দেখা যাচ্ছে এক মহিলা মন্দিরের সিঁড়িতে বসে থাকলেও কিছু সময় পর তিনি চলে যান যা অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা। এর সাথে অলৌকিক কিংবা বায়বীয় কিছুর সম্পর্ক নেই। এটা সম্পূর্ণ মন্দিরের পুরোহিতের ব্যক্তি ভাবনার ও বিশ্বাস। মন্দিরের পুরহিতের বর্ণনা যদি সত্যিই হতো তাহলে তা ক্যামেরা বন্দি হতো। বিজ্ঞান কখনই এই ঘটনাকে স্বীকৃতি দেয় না।

 

ঘটনার সিসিটিভি ক্যামেরার সত্যতা যাচাই করেনি খবরএই সময়। তবে এই ঘটনা নিয়ে যথেষ্ট শোরগোল পরেছে বনহুগলী বিনরিনি আবাসন চত্ত্বরে। স্থানীয় মানুষের মুখে এখন এই ঘটনাই প্রধান চর্চার বিষয় ।

Google news