শেষ বয়সে এসে চরম হেনস্থার শিকার বিশিষ্ট সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়! প্রশাসনে দ্বারস্থ পরিবার

ছবি - পল্লব হাজরা।

 

 

পল্লব হাজরা, বরানগর: সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় তাঁর কলমের মধ্যদিয়ে দীর্ঘ সময় মানুষকে হাস্যরসে মাতিয়ে রেখেছেন। আহাম্মক, দীনজনে, একা, বাড়িবদল, দ্বিধা, চিড়িয়াখানা, মিলেনিয়াম,দ্বিতীয় পক্ষ, আড়ং ধোলাই মতো লেখা পড়ে সময়ের সাথে পাঠকদের সাড়াও মিলেছে যথেষ্ট।দেশ বিদেশেও রয়েছে তাঁর হাজার হাজার অনুরাগী। সমাজের নানার স্তর থেকে মিলেছে একাধিক সম্মান। যার মধ্যে সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সাহিত্য পুরস্কার অন্যতম।

 

তবে ফেসবুকে(facebook) কিছুদিন ধরে রীতিমতো কটূক্তির শিকার হয়ে চলছেন তিনি। পরিবারের অভিযোগ তাঁর লেখা ‘শ্রীকৃষ্ণের শেষ কটা দিন’ বইটির প্রথম পৃষ্ঠার ছবি বিকৃতি ঘটিয়ে লেখকের নাম কলুষিত করার চেষ্টা হয়েছে। বইয়ের প্রথম পৃষ্ঠার আসল ছবি পরিবর্তন করে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ব্যবহার করা হয়। যা ফেসবুকে(facebook) প্রকাশ করেছেন এক ব্যক্তি। যার জেরে সাহিত্যিকের উপর ধেয়ে আসে একাধিক কটূক্তি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো অপমানিত হন বিশিষ্ট সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়। সম্প্রতি ‘শ্রীকৃষ্ণের শেষ কটা দিন’ বইটি লিখেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সম্মানিত হয়েছেন তিনি।

 

পরিবারের পক্ষ থেকে সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের পুত্র অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় জানান, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দুই ব্যক্তিত্বকে ব্যবহার করে ওই ব্যক্তি সামাজিক মাধ্যমে জনপ্রিয়তা লাভ করতে চেয়েছে। যদিও সাহিত্যিকে কালিমালিপ্ত করা করা সম্ভব নয়। প্রত্যেক ক্রিয়ার একটি বিপরীত প্রতিক্রিয়া হয় ঠিক তেমনভাবেই ওই ব্যক্তির উপর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই বরানগর থানায় লিখিত অভিযোগের পাশাপাশি লালবাজার সাইবার ক্রাইমেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পরবর্তীতে মানহানির মামলার দিকে এগোচ্ছে পরিবার।

 

সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় জানান ‘শ্রীকৃষ্ণের শেষ কটা দিন’ বইটি ধর্মভিত্তিক মহাভারতকে কেন্দ্র করে লেখা। ভারতবর্ষে ২৪ টি ভাষায় অনুমোদিত ও সমাদৃত। তবে বইটি সামাজিক মাধ্যমে জঘন্যভাবে ব্যবহার করা হলো। ওই ব্যক্তি নিজের স্বার্থে জনসমুক্ষে এ ভাবে বইটি তুলে ধরলেন ।বইয়ের প্রথম পাতা বিকৃত করে যে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ছবি তুলে ধরা হয়েছে যেন শ্রীকৃষ্ণ হিসেবে বর্ণনা করছেন সাহিত্যিক এমনই ভুল বার্তা দিতে চেয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। যা সম্পূর্ণ অপ্রচার এবং এটি মেনে নেওয়া যায় না।

 

ইতিমধ্যেই বিশিষ্ট সাহিত্যিকে সামাজিক মাধ্যমে হেনস্থা করার বিষয়টি নিয়ে তদন্ত নেমেছে বরানগর থানার পুলিশ। ব্যক্তিটি আসল পরিচয় , কি তার উদ্দেশ্য তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Google news