চলতি বছরের শুরু থেকেই পায়ের ইনজুরিটা কম ভোগায়নি ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসিকে (Lionel Messi)। এমনকি কোপা কোপা আমেরিকায় খেলেননি গ্রুপের শেষ ম্যাচটিও। ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালেও ম্যাচেও কিছুটা বিবর্ণ ছিলেন মেসি। আজ স্কালোনিও ফিরে যান পুরনো ফর্মুলায়। একাদশে নিয়ে আসেন ডি মারিয়া ও জুলিয়ান আলভারেজকে। ছন্দ ফিরে পান মেসিও। পেয়েছেন এবারের প্রথম গোল, হয়েছেন সেমিফাইনালে ম্যাচের সেরা।
কানাডাকে ২-০ গোলে হারিয়ে কোপা আমেরিকার আরও একটি শিরোপার দ্বারপ্রান্তে আর্জেন্টিনা। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো মহাদেশীয় প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। জয়ের দিনে গোল করে বড় ভূমিকা রাখেন লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। ম্যাচের সেরাও হন বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। এরপর ফের অবসরের ইঙ্গিত দিয়ে মেসির মন্তব্য, ‘এটি আমাদের শেষ লড়াই।’
কোপার ফাইনালে ওঠার পর মেসির (Lionel Messi) ভাষ্য, ‘জাতীয় দল ও একটি গ্রুপ হয়ে আমরা যে অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, সেটি উপভোগ করছি। আবারও ফাইনালে ওঠা সহজ বিষয় নয়, আবারও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রতিযোগিতায় নামতে হবে। উপভোগও করছি, এর পাশাপাশি ফিদেও (ডি মারিয়া), ওটার (নিকোলাস ওটামেন্দি) মতো আমিও মনে করছি, এগুলো (আমাদের) শেষ লড়াই।’
চলতি কোপায় মোটেই স্বস্তিতে নেই মেসি (Lionel Messi)। আসরের শুরু থেকেই একের পর এক সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেছেন। চোটের কারণে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতেও পারেননি। তবে ধীরে ধীরে ঠিকই খোলস ছেড়েছেন রেকর্ড আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি। ফাইনালে ওঠার দিনে চলতি কোপায় নিজের প্রথম গোলের দেখাও পেয়েছেন। তবে ফাইনালে ওঠা সহজ ছিল না, দাবি মেসির।
বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের (Lionel Messi) ভাষ্যমতে, ‘আমরা এ নিয়ে টানা চতুর্থ (ফিনালাসিমাসহ) ফাইনাল খেলব। কথাটা বলা সহজ হলেও পুরো যাত্রা অনেক কঠিন ছিল। খারাপ পিচ, ভারী আবহাওয়া এবং এখানে খেলা বেশ কঠিন। তবুও আসুন সময়টা উপভোগ করি, সামনে আরেকটি ফাইনাল। সৃষ্টিকর্তা চাইলে গতবারের (চ্যাম্পিয়ন) মতোই হবে।’
এদিকে মেসির (Lionel Messi) ‘এগুলো আমাদের শেষ লড়াই’ উক্তি নিয়ে কোচ স্কালোনির মন্তব্য, ‘আমরা তাকে একা থাকতে দিই, সে জানে সেই একমাত্র নয় যে দরজা বন্ধ করতে হবে, আমাদের পক্ষ থেকে সেই পথ সবসময় খোলা। যে যতটা সময় চায়, আমাদের সঙ্গে থাকতে পারবে, এমনকি যদি সে অবসরও নিয়ে নেয়। আমরা যদি সেখানে থাকি, আমার যেখানে ইচ্ছা সেখানে নিয়ে যাব। সে কী চায়, তাকে সেই সিদ্ধান্ত নিতে দিন।’