নিজস্ব প্রতিনিধি, কেদারনাথঃ কেদারনাথ,বদ্রিনাথ, গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রী ।উত্তরাখণ্ডের এই চারটি দেবভুমি চারধাম নামে পরিচিত। এর মধ্যে সবথেকে দুর্গম পথ হল কেদারনাথ ধাম।কথিত আছে প্রায় ৩ হাজার বছর আগে পাণ্ডবরা এই মন্দির তৈরি করেন। ভগবান শিব এই মন্দিরে অধিষ্ঠিত। এটি পঞ্চম জ্যোতির্লিঙ্গ।হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, অরিদ্রা নক্ষত্রের রাতে শিব স্বয়ং জ্যোতির্লিঙ্গ রূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন। এই শিবলিঙ্গগুলির বিশেষ কোনো বৈশিষ্ট্য নেই। তবে হিন্দুদের কাছে এগুলি শিবের পবিত্রতম মন্দির। স্বেতশুভ্র বরফে মোরা সমুদ্রতল থেকে ৩ হাজার ৫শত তিরাশি মিটার অর্থাৎ ১১ হাজার ৭ শত ৫৫ ফুট উপরে হিমালয়ের কোলে বয়ে চলা মন্দাকিনী নদীর পাশে অবস্থিত এই শ্রী কেদারধাম।
কেদারনাথ মন্দিরে যাওয়ার জন্য কোনো সড়কপথ নেই।২০১৩ সালের ১৪ই জুন কেদারখন্ডে ঘটে যাওয়া প্রলয়ে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আগে গৌরিকুণ্ড থেকে ১৪ কিলোমিটার পথ পাহাড়ি চড়াই পথে ট্রেকিং করে মন্দিরে যেতে হত। বর্তমানে শোনপ্রয়াগ থেকে হাঁটতে হয় ।এখান থেকে গৌরীকুণ্ড চার কিমি।গৌরীকুণ্ড থেকে সাড়ে ছয় কিমি দূরে ভীমবলি,সেখান থেকে আট কিমি দূরে লিঞ্চোলি,লিঞ্চোলি থেকে কেদারনাথ পাঁচ কিমি অর্থাৎ আগে চোদ্দ কিমি এবং এখন সাড়ে তেইশ কিমি হাটতে হয়। ২০১৩ সালে মহা প্রলয়য়ের পর একবার দেখা গিয়েছিল মন্দিরের ভিতরের আরতি। ফের একবার দেখা গেল এইবছর অর্থাৎ ২০২০ সালে করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের জেরে সারা দেশ জুড়ে লকডাউন চলাকালীন।