জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার বিরুদ্ধে ‘কুরুচিকর’ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে এফআইআর করল দিল্লি পুলিশ। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭৯ ধারায় রবিবার তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের হাথরসে পদপিষ্ট হয়ে আহত মহিলাদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন রেখা। ভিডিয়োতে দেখা যায়, কোনও এক জন তাঁর মাথায় ছাতা ধরে রয়েছেন। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন কেন নিজের ছাতা নিজে ধরেননি, তা নিয়ে সরব হয়েছিল নেট-পাড়া। সেখানেই মহুয়া মন্তব্য করেছেন, ‘ছাতা ধরবেন কী করে, উনি তো ওঁর প্রভুর পাজামা ধরেছিলেন’! এই মন্তব্যকে রেখা অশালীন এবং তাঁর পদের মর্যাদাহানিকর বলে নিন্দা করেন।
ঘটনার সূত্রপাত হাথরাসে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে। এই ঘটনার পর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন রেখা শর্মা। এই ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে যেখানে দেখা যায় একজন লোক রেখার পিছনে ছাতা ধরে হাঁটছেন। যা নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় সরব হন নেটিজেনরা। সেখানেই মহুয়া মন্তব্য করেন, ‘তিনি তাঁর বসের পাজামা ধরতে ব্যস্ত।’ মহুয়ার (Mahua Moitra) এই মন্তব্য ঘিরেই শুরু হয় বিতর্ক। অভিযোগ ওঠে একজন মহিলার মর্যাদাহানি করেছেন সাংসদ। এই ঘটনায় লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি দিল্লি পুলিশেও অভিযোগ জানায় জাতীয় মহিলা কমিশন। কৃষ্ণনগরের সাংসদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়ে তিন দিনের মধ্যে কমিশনকে রিপোর্ট দেওয়ার কথাও বলা হয়।
যদিও সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে জাতীয় মহিলা কমিশনের পাশাপাশি দিল্লি পুলিশকে পালটা তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে। তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আর্জি জানিয়ে য হ্যান্ডেলে মহিলা কমিশনের সেই বার্তা তুলে ধরেই মহুয়া লিখেছিলেন, ‘দিল্লি পুলিশ আসুন অবিলম্বে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। যদি তিনদিনের মধ্যে আমাকে গ্রেফতার করতে চান, তাহলে নদিয়ায় আসুন। এখন আমি নদিয়াতেই রয়েছি।’ একইসঙ্গে কটাক্ষের সুরে তিনি লেখেন, ‘আমি আমার নিজের ছাতা নিজে ধরতে পারি।’