হুগলি: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সোমবার হুগলির ফুরফুরা শরিফে ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার পথে একটি অপ্রত্যাশিত দৃশ্যের সাক্ষী হন। পীর আবু বক্কর সিদ্দিকির মাজারে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে এক খাবার বিক্রেতাকে দেখে তিনি আচমকা থামেন এবং তার সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন। বিক্রেতার কাছ থেকে খাবারের বিক্রির উপায় নিয়ে পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে মাজারে যাচ্ছিলেন, তার কনভয়ও রাস্তার ধারে থামানো ছিল। সেদিকে নজর পড়ে, রাস্তার পাশেই এক প্রবীণ ব্যক্তি নানা রঙের মোরব্বা, হালুয়া, গজা বিক্রি করছিলেন। বিক্রেতার নাম ইসমাইল মুফতি। মমতা তাকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেন, “কী বিক্রি করছেন?” হাসতে হাসতে বিক্রেতা ইসমাইল জানান যে, তিনি বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি বিক্রি করছেন।
তখনই মমতা, খাবারের সঙ্গে যুক্ত একটি পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, “ঢাকা দিয়ে বিক্রি করুন। ধুলো উড়ছে, মাছি বসছে,” এবং বিক্রেতাকে খাবারের উপযুক্ত সুরক্ষা নেওয়ার পরামর্শ দেন। এ সময় মমতার এই কথায় একটি চমকপ্রদ অভ্যন্তরীণ খোঁজ মিলল, যা সকলেই খেয়াল করেন।
খাবারের বিক্রেতা ইসমাইল মুফতি পরে জানালেন, “মমতাদির পরামর্শ আমি খুবই ভালভাবে নিয়েছি। তিনি খুবই যত্নশীল।” মমতা আরও জিজ্ঞাসা করেন, “মোরব্বা খেতে চাননি, চাইলে দিদিকে দিতাম?” এতে ইসমাইল মুফতি একমুখ হেসে বলেন, “আমি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এই ব্যবসা করছি। মাছি বসছে দেখে চাপা দিতে বলেছিলাম, তবে দিদি তো কিছুই খেতে চাননি।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিন ফুরফুরা শরিফের মাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া অবস্থায়, কিছুক্ষণের জন্য সেই খাবারের বিক্রেতার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আলাপচারিতায় মগ্ন হন। তাঁর কাছে একে নতুন ব্যবসায়িক দিক নির্দেশনা হিসেবে দেখা হচ্ছে, যেখানে খোলামেলা পরামর্শের মাধ্যমে সঠিক উদ্যোগে পরিণত হতে পারে।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পীর আবু বক্কর সিদ্দিকির মাজারে গিয়ে সেখানে ইফতার অনুষ্ঠানে অংশ নেন এবং সবার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।