রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জেলা সফরে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। হাওড়া-হুগলির একাধিক এলাকা বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। হুগলির পরশুড়ার বন্যা পরিস্থিতি দেখার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee ) বলেন, এটা ম্যান মেড বন্যা। সাড়ে তিন লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। যার জেরে এই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, পরিকল্পনা করে ডিভিসি থেকে জল ছেড়ে বন্যাকে ভাসানো হয়েছে।
পুড়শুড়ার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পরিকল্পনা করে বাংলাকে ডোবানো হয়েছে। শুধুমাত্র নিজেদের রাজ্যকে বাঁচানোর জন্য। বার বার আমি অভিযোগ করে ফেড আপ হয়ে গেছি। আরও তিন লক্ষ কিউসেক জল সঞ্চয় করার ক্ষমতা রয়েছে। যখন মাত্র ৭০ শতাংশ ভর্তি হয়, তখন ছাড়ে কেন? এভাবে করলে বাংলা সহ্য করতে পারে নাকি।
বাংলাতে ডিভিসি জল ছাড়ার কারণে আগেও ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। প্রতি ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী ম্যান মেড ফ্লাড বলে অভিযোগ করেছেন। ২০০০ সালে বিরোধী দলনেত্রী থাকার সময় প্রথমবার তিনি ম্যান মেড ফ্লাড বলে উল্লেখ করেন। হাওড়ায় সেই সময় ভয়াবহ বন্যা হয়। দুই বছর আগে বাংলায় আবারও ভয়াবহ বন্যা হয়। সেই সময় তিনি একঅ কথা বলেছিলেন।
যদিও এই রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বন্যা পরিস্থিতির জন্য সময়মতো নদীবাঁধ সংস্কার না করাকে দায়ী করেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যান্ডেলে লেখেন, বর্ষার আগে নদীবাঁধ সংস্কারের কোনও কাজ করেনি সেচ দফতর। কারণ, দেউলিয়া রাজ্য সরকারের কাছে বাঁধ সংস্কার করার মতো টাকা নেই। যার ফলে হুগলি, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পূর্ব মেদিনীপুরের একাংশে বন্যাপরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। জল আবাসিক পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর বা SDRF তাদের কোনও সহযোগিতা করছে না। এলাকায় ঢুকে পড়েছে। যার জেরে স্থানীয় বাসিন্দারা বিপাকে পড়েছেন।